লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রতিটি ঋতুতে আবহাওয়ার যে পরিবর্তন হয়, তার প্রভাব প্রকৃতির ওপর যেমন পরে তেমনি মানব দেহ, ত্বকেও চিহ্ন এঁকে দেয়। ত্বকের অতিরিক্ত দূষণ বেশ কয়েক বছর পর বুড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। অকালে বার্ধক্যকে দূরে রাখতে কিংবা বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে কী করবেন জেনে নিন।
রোদ থেকে সাবধান
ত্বকের বয়সের ছাপ যদি দ্রুত কেউ ফেলতে পারে, সেটা হলো রোদ। তাই রোদে বের হলে সঙ্গে রাখুন ছাতা, টুপি ও সানগ্লাস। প্রয়োজনে পরুন গা-ঢাকা জামা। আর অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন মাখতে ভুলবেন না। এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন মাখুন। রোদ থাকলে তো বটেই, এমনকি মেঘলা দিনেও সানস্ক্রিন মাখতে কখনোই ভুলবেন না।
পুষ্টিকর খাবার খাবেন
প্রতিদিনের ডায়েটে এমন খাবার রাখুন, যাতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেশি থাকে। কারণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার ত্বককে নমনীয় করে ও অকাল বার্ধক্যের সমস্যাকে সহজেই প্রতিহত করে। প্লেটে রাখুন সবুজ-লাল ক্যাপসিকাম, ব্রকোলি, গাজর ও সবুজ শাকসবজি। আর প্রতিদিন অন্তত বেদানা, ব্লুবেরি, অ্যাভোকাডো জাতীয় যে কোনো ফল খাওয়ার চেষ্টা করবেন। দিনের মধ্যে অন্তত একবার গ্রিন টি পান করুন।
চাপমুক্ত থাকুন
আধুনিক জীবনটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। দীর্ঘ সময়ের চাপ শরীরের ‘টেলোমেরাস’ নামক ক্রোমজোমের ক্ষয় ঘটায়। এর ফলে প্রাকৃতিকভাবেই মানুষ বৃদ্ধ হয়ে যায়। পর্যাপ্ত বিশ্রামের অভাবে মানুষের বৃদ্ধভাব প্রকাশ পায়। সুতরাং অতিরিক্ত চাপ থেকে দূরে থাকুন।
ত্বককে আর্দ্র রাখুন
একটা বয়সের পর নিয়ম মেনে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করা খুব দরকার। কারণ প্রতিদিন মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বক অনেক বেশি আর্দ্র ও সতেজ থাকে। এতে বলিরেখার সমস্যাও কমে। তবে ময়শ্চরাইজার কেনার আগে দেখে নিন তাতে যেনো ভিটামিন সি বা ভিটামিন এ থাকে। যদি রাতে কেউ ঠিকমতো না ঘুমায়, তাহলে মুখে বয়সের ছাপ পরে যায় কিংবা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে বাধ্য।
কারণ ঘুমনোর সময় ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়, যা ত্বককে বলিরেখার হাত থেকে বাঁচায়। তাই প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন, যদি ব্যস্ততাও থাকে। কম ঘুমোলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ বাড়ে, তা থেকে অচিরেই পড়তে পারে বার্ধক্যের ছাপ।
ঘুম খুব দরকার
যদি রাতে কেউ ঠিকমতো না ঘুমায়, তাহলে মুখে বয়সের ছাপ পরে যায় কিংবা ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে বাধ্য। কারণ ঘুমনোর সময় ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়, যা ত্বককে বলিরেখার হাত থেকে বাঁচায়। তাই প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করবেন, যদি ব্যস্ততাও থাকে। কম ঘুমোলে মানসিক চাপ, উদ্বেগ বাড়ে, তা থেকে অচিরেই পড়তে পারে বার্ধক্যের ছাপ।