দাম্পত্য সম্পর্কে একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না থাকলে একটা অদৃশ্য দূরত্ব তৈরি হয়। আচরণে প্রাণ থাকা প্রয়োজন, এজন্য প্রয়োজন ভালোবাসা আর শুদ্ধাবোধ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘‘সঙ্গীকে হঠাৎ করে সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরা, ধন্যবাদ জানানো বা একসঙ্গে আনন্দ করা—এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো আন্তরিকভাবে করলে সম্পর্ক প্রাণবন্ত এবং শক্তিশালী হয়।’’
সম্পর্কে ‘অদৃশ্য দূরত্ব’ তৈরি হরে যা যা করতে পারেন
সঙ্গী অসুস্থ হলে শুশ্রূষা করা, সারাদিনের কাজের ফাঁকে খোঁজ নেওয়া, সঙ্গীর পছন্দের কাজে আগ্রহ দেখানো দাম্পত্য জীবনকে অনেক মজবুত ও সাবলীল করে। রোজ সঙ্গীর সুস্থতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। যেমন, ‘আজ তোমার দিনটা কেমন কাটল? —এই ধরনের ছোট জিনিস দু’জনকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে।
মনোযোগ সহকারে শুনুন
কথা বলা যতটা গুরুত্বপূর্ণ, মনোযোগ সহকারে শোনাও ততটাই জরুরি। যখন দু’জন মানুষ সত্যিই একে অপরের কথা শোনে এবং মাঝে মাঝে চিন্তাশীল প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে, তখন সম্পর্ক আরও গভীর হয়।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
একটি ছোট ‘ধন্যবাদ’ আপনার সঙ্গীর কাছে অনেক অর্থ বহন করে। সঙ্গী যদি দৈনন্দিন জীবনের ছোট ছোট কাজেও আপনাকে সাহায্য করে, তাহলে তাকে ধন্যবাদ জানানো উচিত। এটি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা উভয়ই বৃদ্ধি করে।
ছোট ছোট ভালোবাসার অঙ্গভঙ্গি
একটি সম্পর্ক কেবল প্রেমের বিষয় নয়। হাত ধরা, আলিঙ্গন করা, এমনকি হালকা স্পর্শও সম্পর্ককে শক্তিশালী করে এবং ভালোবাসা প্রকাশের এটি সহজ উপায়।
একসঙ্গে কাজ করা
যদি কোনো দম্পতি সত্যিই একে অপরকে ভালোবাসে এবং সম্মান করে, তাহলে তারা গৃহস্থালির কাজের দায়িত্ব ভাগ করে নেয়। এটি বোঝা কমায় এবং পার্টনারশিপের অনুভূতিকে শক্তিশালী করে।
ছোট ছোট আনন্দ দিন
বড় জিনিস সারপ্রাইজ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না সব সময়। কখনও কখনও একটি সুন্দর হাতে লেখা চিঠি বা ছোট একটি চকলেট দিয়ে চমক দিলেও সঙ্গীর দিনটা সুন্দর হয়ে উঠতে পারে।
একসঙ্গে কাটানো সময়
ফোন বা স্ক্রিন থেকে দূরে একসঙ্গে সময় কাটানো, যেমন হাঁটাহাঁটি করা বা একসঙ্গে বই পড়া, রান্না করা, সম্পর্ককে শক্তিশালী করে। আর একে অপরের সঙ্গে রসিকতা ভাগাভাগি করা বা হালকা আড্ডা দেওয়া সম্পর্কের মধ্যে মজা আনে এবং আরও গভীর বন্ধন তৈরি করে।