ঢাকা : সন্দেহভাজন সরকারি কর্মকর্তা, আমলা, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার যে কোনো ব্যক্তির অবৈধ সম্পদ খতিয়ে দেখতে পারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অবৈধ সম্পদ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেন দুদক কর্মকর্তারা। কিন্তু যারা সম্পদের অনুসন্ধান করেন তাদের সম্পদের হিসাব নেবে কে? এমন প্রশ্ন হরহামেশাই দেখা দেয়।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সংস্থাটির সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে। আমরা দেখছি। দুদক মানুষের আস্থায় থাকবে এটা আমরা চাই। একই সঙ্গে সম্পদের হিসাব দিতে দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও পিছিয়ে থাকবেন না।
সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দেওয়া বাধ্যতামূলক করার বিষয়টিকে ইতিবাচক বলেই মন্তব্য করেন তিনি। স্বচ্ছতার জন্য দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও সম্পদের হিসাব দিতে হবে।
চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী ৫ বছর পরপর সব চাকরিজীবীকে তার নিয়োগ কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদের হিসাব দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী এ নিয়ম মানেন না। বিধিমালা মানতে সম্প্রতি সব মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
দুদক সূত্র জানায়, সংস্থাটির তদন্তের আওতায় থাকা বেশির ভাগই সরকারি চাকরিজীবী। গত ১০ বছরে দেড় হাজারের বেশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী দুর্নীতি মামলার আসামি হয়েছেন। যাদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধেই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
দুদক সচিব আরও বলেন, সরকারি চাকরিজীবীরা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে সম্পদের হিসাব দিলে তাদের অনুসন্ধান তদন্তে সুবিধা হয়। কেউ অবৈধ পথে সম্পদ অর্জন করলে তার একটি চিত্র এই হিসাবে আসবেই। সরকারি এই উদ্যোগের ফলে দুদকের তদন্ত কাজেও অনেক সুবিধা হবে।