বর্তমান সরকারের মেয়াদে এসেও গণপূর্ত অধিদফতর সিন্ডিকেট মুক্ত হয়নি। এই সিন্ডিকেট এতটাই বেপরোয়া যে কোন নিয়ম কানুনকে তারা তোয়াক্কা করছে না। একটি বিশেষ অঞ্চলের নামীদামী কিছু ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে এরা ফায়দা হাসিল করছে । গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একটি সরকারকে নিজ দেশের জনগনের সুবিধার্তে অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হয়।
এক্ষেত্রে অধিকাংশ উন্নয়নকাজই গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে থাকে সরকার। সরকারের গৃহীত ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য অন্যতম একটি কর্মসূচী হলো টেকসই উন্নয়ন। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে অবকাঠামো ও নির্মান খাত। আর এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বাস্তবায়নে মূখ্য ভূমিকা পালন করে গনপূর্ত অধিদপ্তর।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) রাজধানীর হাতিরঝিল-রামপুরা সেতু-বনশ্রী-শেখেরজায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা সড়ক চার লেন করার প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার
(২৮ জানুয়ারি) ২০২০ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সাবেক পলাতোক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
২০২৩ সালের জুন মাসে ১৪ তারিখে এই বার্ষিক কর্মসম্পাদন সংক্রান্ত সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়
হাতিরঝিল-রামপুরা বনশ্রী-শেখের জায়গা, আমুলিয়া, ডেমরা মহাসড়ক নির্মান প্রকল্পে তাড়াবো লিংক মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের জন্য সহায়ক প্রকল্প এর জন্য রাস্তার উভয় পাশে অধিগ্রহনকৃত স্থাপনা মুল্য নির্ধারনের সময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রফিকুজ্জামানের চিহ্নিত দালাল চক্র স্বপন সরকার মোস্তফা কামাল, ও কফিল উদ্দিন এই দালাল চক্রের মুলহোতা স্বপন সরকারের মাধ্যমে অধিগ্রস্থ ভূমি ও স্থাপনা মালিকদের সাথে স্ট্যাম্প এর মাধ্যমে চুক্তি করে । নামমাত্র স্থাপনা থাকলেও উক্ত স্থাপনার কোটি কোটি টাকার বিল দেখিয়ে তা আত্বসাৎ করে চক্রটি।
এছাড়া যারা দালাল চক্রের সাথে চুক্তি করেনি তাদের স্থাপনার মান ভালো হলেও তার সঠিক বিল পরিশোধ করা হয়নি। নামমাত্র স্থাপনার বিল কোটি কোটি টাকায় তৈরি হওয়ায় ডিসি অফিস পূর্নমুল্যায়ন করার জন্য প্রেরন করলে দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. রফিকুজ্জামান, এবং এল এ শাখার কিছু দূর্নীতিবাজ সার্ভেয়ারের সহযোগীতায় দালাল চক্রের মাধ্যেমে নামমাত্র দাম কমিয়ে তা বাস্তবায়ন করে।
গণপূর্ত অঞ্চল চার এর মিস্টার ১০% ঘুষখোর কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানার তত্ত্বাবধানেই এসব অপকর্ম সংগঠিত হচ্ছে।
নগর গণপূর্ত বিভাগ ঢাকা-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানার যত অপকর্ম:
নগর গণপূর্ত বিভাগ ঢাকা-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ রানার অনিয়ম দূর্নীতি আর ফাইভ স্টার হোটেলে নারীদের নিয়ে রঙ্গলীলা অধিদপ্তরের অনেকের কাছেই ওপেন সিক্রেট। দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের আমলে মহা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের তালিকায় রয়েছে মাসুদ রানার নাম। জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে থাকা ঢাকা নগর গণপূর্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদ রানা গণপূর্তের মিস্টার ১০% ঘুষখোর কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাপক পরিচিত। অভিযোগ রয়েছে, ঢাকা শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৩ এ থাকা অবস্থায় তিনি বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের টেন্ডারে অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রাক্কলন, টেন্ডারের তথ্য ফাঁস, দর-কষাকষির নামে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। বর্তমানে ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগ -৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানা গত জুলাই মাসে মিরপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমানোর জন্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন আওয়ামী লীগের এমপি মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের মাধমে। এনিয়ে শেরে বাংলা নগর থানার সামনে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল বের করেছিলো সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ঢাকা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ রানার অবৈধ সম্পদ,
রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে যাতায়াত মদ্যপান, রঙ্গলীলা নারীদের নিয়ে জলসা মজলিসের বিস্তারিত থাকবে ২য় পর্বে।
উদাহরন সরুপ