একুশ শতকে একখানা স্মার্টফোন ছাড়া অচল। খুদে হোক কিংবা প্রৌঢ় সদস্য, এখন মোবাইলের নেশায় বুঁদ হচ্ছেন সকলেই। পড়াশোনার যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই আবার কাজের প্রতিও মনোযোগ কমছে। অনেকের দাম্পত্য জীবনেও মারাত্মক প্রভাব ফেলে মোবাইলের নেশা। দাম্পত্য জীবন সুন্দর এবং স্বাভাবিক রাখতে চাইলে এখন থেকেই মোবাইলের আসক্তি কমানো উচিৎ। যেসব কাজে মোবাইলে আসক্তি কমবে তার মধ্যে থাকছে-
১. ভাবার অভ্যাস তৈরি করুন:
ডিজিটাল দুনিয়ার মোহে পড়ে আমরা নিজেকে নিয়ে আর ভাবি না। ভাবার সময় বার করতে হবে সবার আগে। মোবাইল দূরে সরিয়ে রোজ নির্দিষ্ট একটি সময় নিজের সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন, ভাবনাচিন্তার পরিসর অনেক বেড়েছে।
২. সময় ঠিক করে নিন:
কত ক্ষণ টিভি দেখবেন, কম্পিউটার চালাবেন আর ফোন ঘাঁটবেন, তার সময় বেঁধে নিন। চেষ্টা করুন ঘুম থেকে উঠেই ফোন থেকে অন্তত ঘণ্টাখানেক দূরে থাকার। চেষ্টা করুন অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে না আসার। ঘুমোনোর অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে ফোন রেখে দিন। অবসর সময় বই পড়ুন, পরিবারের সঙ্গে কাটান, গান শুনুন। নিজের পুরনো শখগুলি নিয়ে আবার ভাবনাচিন্তা শুরু করুন।
৩. অ্যাপ ছাঁটাই:
দরকারি অ্যাপ ছাড়া বাকি অ্যাপগুলি ফোনে না রাখাই ভাল। মানে ধরুন, অ্যাপ ক্যাপ বুক করা, খাবার অর্ডার করার মতো দরকারি অ্যাপ রেখে সোশ্যাল নেটওয়র্কিং ও চ্যাট করার অ্যাপ ছাঁটাই করুন। দেখবেন, আর ফোনের দিকে তাকাতেও ইচ্ছে করবে না। কাজটা কঠিন হলেও করতে হবে। ‘ডায়েট’ শুরু করার সময় একটু কড়া হতেই হবে।
৪. বন্ধু খুঁজুন:
ডায়েটের সময় আপনার একজন সঙ্গী দরকার। তাকে নিজের সমস্যার কথা খুলে বলুন। কোনও সময় ডিজিটাল দুনিয়ার প্রতি বেশি আসক্তি দেখালে তিনিই আপনাকে আটকাবেন। এই বন্ধু আপনার বাড়ির কোনও সদস্যও হতে পারেন। তার সঙ্গে গল্প করে অনেকটাই সময় কাটাতে পারেন।
৫. ফোন ছাড়া ছুটিতে যান:
এখন ফোন ছাড়া চলা মুশকিল। রাস্তায় বেরোলে ফোনের প্রয়োজন পড়ে। তবে ঘুরতে গিয়ে এক বার গন্তব্যে পৌঁছে গেলেই ফোন বন্ধ করে দিন। ওই ক’টা দিন শুধুই পরিবার, বন্ধুবান্ধব কিংবা সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন। পরিবেশের সান্নিধ্য উপভোগ করুন।