অফিস ও সংসার সামলে সন্তানকে সময় দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েন অনেক কর্মজীবী মায়েরা। কিন্তু সন্তানের জন্য সময় তো দিতেই হবে। তা না হলে তার বেড়ে ওঠাতে অভিভাবকের অনুপস্থিতি বেশ বড় প্রভাব ফেলতে পারে। এটাও স্বীকার করতে হবে সবকিছু সামলে তার ছোট্ট সোনামণিকে সময় দেওয়া সত্যিই কঠিন হয়ে পড়ে।
এদিকে এটাও ঠিক যে, বাচ্চাকে সময় দিতে না পারলে মায়েদেরও মনে কষ্ট হয়। সেই সঙ্গে সমাজ বা স্বজনরাও আঙুল তুলতে ছাড়ে না। একটু এদিক-ওদিক হলেই পুরো দোষটা যায় মায়ের দিকে। কিন্তু সন্তানের জন্য সবচেয়ে বেশি কষ্টও কিন্তু তিনিই করেন। তাই কর্মজীবী মায়েদের জন্যে রইল ৪ ট্রিকের সন্ধান। অফিসও হবে, আর বাচ্চাও আমার সময় পাবে।
পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করবেন যেভাবেপারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করবেন যেভাবে
১। আপনার সারা দিনের সময়কে কয়েকটি ভাগে ভাগ করে নিন। অফিসের জন্য ১০ ঘণ্টা চলেই যায়। সংসারের জন্যে রাখুন ১.৫ ঘণ্টা। এটা ঠিক যে এতো কম সময়ে সংসারের সব কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আপনাকে অবশ্যই একজন গৃহ পরিচারিকার সাহায্য নিতেই হবে। আর সন্তানের জন্য অবশ্যই ২-৩ ঘণ্টা রাখুন। আর হ্যাঁ এসব কিছুর মাঝে অন্তত ছুটির দিনগুলোতে নিজের জন্যে আলাদা সময় রাখুন।
২। যতই কষ্ট হোক, অফিসের কাজ বাড়িতে আনবেন না। এখন অনেক নারীরাই অফিসের বড় বড় দায়িত্ব সামলান। তাঁদের উপরে অবশ্যই অনেক চাপ থাকে। তাই অনেক সময়ে অফিসের কাজ বাড়ি নিয়ে যেতে হয়। এটা মোটেও করবেন না। চেষ্টা করবেন অফিসের কাজ অফিসেই করে ফেলার।
সন্তানের বন্ধু হয়ে উঠুন, রইল সহজ ৫ কৌশলসন্তানের বন্ধু হয়ে উঠুন, রইল সহজ ৫ কৌশল
৩। অফিসের লাঞ্চ ব্রেকে সন্তানকে ভিডিও কল করতে একদম ভুলবেন না। এই সময় তার সঙ্গে কথা বলুন, তার কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা জানুন। কিছুটা সময় গল্প করুন। এতে তার মনে দূরত্ব কমে আসবে। আপনি যে অফিসে গিয়েও তাকে সময় দিচ্ছেন সেটি বুঝবে। এতে একদিকে যেমন আপনার ভালো লাগবে। অন্যদিকে খুদের মুখেও হাসি ফুটবে।
৪। অফিসের কাজ, বাড়ির কাজ এবং সন্তানের দায়িত্ব পালন। এতকিছুর পর একটুখানি ক্লান্তি আসতেই পারে। এটা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু সমাজ বা স্বজনরা কথা শোনাতে ছাড়বে না। তাই যে যাই বলুক না কেন, মন খারাপ করবেন না। কারণ আপনার জীবনের সামান্য দায়িত্বও কেউ নেবেন না। সন্তান ও পরিবারের খেয়াল রাখতে সবার আগে নিজেকে ভালো রাখতে হবে।