বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদীর সংখ্যা ৫৪টি। এর মধ্যে শুধু গঙ্গার পানি ভাগাভাগি নিয়ে ঢাকা-দিল্লি চুক্তি হয় ১৯৯৬ সালে। ৩০ বছরের সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২০২৬ এর ডিসেম্বরে। এই গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়ন নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করতে মার্চে ভারত যাচ্ছে কারিগরি দল।
পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, আগামী বছরের মধ্যে নবায়ন হবে পানিবণ্টনের চুক্তি। সেখানে গুরুত্ব দেওয়া হবে দেশের স্বার্থ। তবে নদী বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাতের দাবি, এই দলের চুক্তি নিয়ে কথা বলার এখতিয়ার নেই। যৌথ নদী ব্যবস্থাপনায় ঢাকা-দিল্লিকে একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন তিনি।
গঙ্গার পানি ভাগাভাগি নিয়ে আগের শর্তে চুক্তি নবায়নের পরিকল্পনা ছিলো আওয়ামী লীগ সরকারের। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার চায় পর্যালোচনা।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘২০২৬ সালের মধ্যে আমাদের চুক্তি করতেই হবে। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে বাংলাদেশের স্বার্থ আমরা সংরক্ষণ করতে পারি সর্বোচ্চ, সেটা বিবেচনা করেই আমরা চুক্তি করতে চাইব। তবে চুক্তিটা আর আমাদের সময়ে হবে না। এটাতো মোটামুটি স্পষ্ট।’
রিজওয়ানা হাসান জানান, আগামী মাসে ভারত যাচ্ছে কারিগরি দল। নদী বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলছেন, তাদের কেবল গঙ্গার পানি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের তথ্য-উপাত্ত বিনিময়ের ক্ষমতা রয়েছে। এর বাইরে কোনো এখতিয়ার নেই।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ওই চুক্তি স্বাক্ষরের পরে অনেক মতামত এসেছে। ওই চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক মতামত এসেছে। সবগুলোকে বিবেচনায় নিয়ে কারিগরি কমিটি প্রাথমিক পর্যায়ে বসবে। এবং সেই কারিগরি কমিটি বাংলাদেশে কাজ শুরু করেছে। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে তারা ভারতে গিয়ে কথাবার্তা বলা শুরু করবে।’
পানি ও নদী বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত বলেন, ‘এই কাজ কারিগরি কমিটির কাজ নয়। এই কারিগরি কমিটির সদস্য আমি অনেক অনেক বছর ছিলাম। কিন্তু সিদ্ধান্তটা কারিগরি আলোচনার ভিত্তিতে হবে না। তাদের নির্দিষ্ট ম্যান্ডেট আছে, বণ্টনের ব্যাপারে তাদের কথা বলার কোনো অধিকার নেই।’
এই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, অভিন্ন নদী রক্ষায় দুই দেশের উচিত যৌথভাবে কাজ করা।