শিরোনাম
লিলকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় লিভারপুল বঙ্গভবন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এখনো ‘অ্যাডমিন ক্যাডার’ হিসেবে কর্মরত সাবেক আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা চিহ্নিত ছাত্রলীগ ক্যাডাররা এস কে সুরের গোপন ভল্টের সন্ধান বলিউড থেকে সরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে কারণ জানালেন নার্গিস মেঘনা পেট্রোলিয়ামের দুর্নীতির মহারাজা ইনাম ইলাহী চৌধুরী লস অ্যাঞ্জেলেসে কষ্টের কথা জানান নোরা শেষ মুহূর্তে উসমান ম্যাজিক, হ্যাটট্রিক শিরোপা পিএসজির আসিফ নজরুলকে শেখ হাসিনার বিষয়ে যা বলেছিলেন খালেদা জিয়া নারী সহকর্মীকে খুন করে দেহ ২৬ টুকরো, অতঃপর…… ২৯ সেপ্টেম্বর দেখা যাবে দ্বিতীয় চাঁদ, থাকবে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত

ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ ও সতর্কতা

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩

স্বাস্থ্য ডেস্ক : দিন দিন দেশে ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু । ডেঙ্গুতে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল আটটা থেকে মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত) আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এ নিয়ে চলতি বছর ৬১ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৭৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২৯ জন, ঢাকার বাইরে ২৪৯ জন।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ডেঙ্গু থেকে মুক্তির সহজ উপায় নাগরিক সচেতনতা। নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সবাইকে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ ও সতর্কতা সম্পর্কে জানতে হবে।

সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে সরকার। এক্ষেত্রে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অগ্রনী ভূমিকা পালন করছেন।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও এভারকেয়ার হসপিটালসের ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ ও সতর্কতা সম্পর্কে বিভিন্ন গণমাধ্যমে লিখছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তার লেখাটি আরটিভির পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলো-

ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ ও সতর্কতা: দেশে ডেঙ্গুজ্বরের সার্বিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে। এ বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি আগের বছরগুলোর তুলনায় মারাত্মক হতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখনই জোর প্রস্তুতি নিতে হবে। সাধারণত ডেঙ্গু বর্ষাকালের অসুখ । কিন্তু বর্তমানে শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা সব ঋতুতেই ডেঙ্গু সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে।

গত কয়েকদিনে ঢাকাসহ সারা দেশে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে বাসাবাড়ি, আঙিনাসহ বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে যা কিনা এডিস মশার প্রজননের উপযুক্ত পরিবেশ। সুতরাং বর্ষাকালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সবার সচেতনতা, সবার সহযোগিতা এবং সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে ডেঙ্গু মোকাবিলা করতে হবে।

ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ: ডেঙ্গুজ্বর সাধারণত ২ ধরনের-ক্ল্যাসিক্যাল ও হেমোরেজিক আর যখন ডেঙ্গু তীব্র আকার ধারণ করে তখন তাকে ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রোম’ বলে। লক্ষণগুলো জেনে নেওয়া যাক-

ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গুজ্বর: ক্ল্যাসিক্যাল ডেঙ্গুজ্বরে শরীরে প্রচন্ড জ্বর (১০০-১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত) সেসঙ্গে তীব্র মাথা ব্যথা হয়। ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দিয়ে আবার জ্বর আসতে পারে। এ ছাড়া মাংসপেশিতে ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা হয়। অতিরিক্ত ক্লান্তিবোধ এবং রুচি কমে যায়। জ্বর হওয়ার ৪-৫ দিনের মধ্যে শরীরে ঘামাচির মতো লাল লাল র‌্যাশ দেখা দেয়।

ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর: ডেঙ্গুর জীবাণু শরীরের রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফলে রক্তের প্ল্যাটিলেট কমে যায় এবং যার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে রক্ত পড়ে যেমন- নাক মুখ, দাঁতের মাড়ি, ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ, রক্তবমি, প্রস্রাব-মলের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে। অনেক সময় বুকে, পিঠে পানি চলে আসে এবং লিভার আক্রান্ত হয়ে জন্ডিস ইত্যাদি জটিলতা দেওয়া দেয়।

ডেঙ্গু শক সিনড্রোম: ডেঙ্গুজ্বরের ভয়াবহ রূপ ‘ডেঙ্গু শক সিনড্রোম’। হঠাৎ রোগীর রক্তচাপ কমে যায়, শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয়, শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়া, দ্রুত নাড়িস্পন্দন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলা। এমন হলে রোগী মারাও যেতে পারে।

কী করবেন: ডেঙ্গুজ্বরের কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই ডেঙ্গুজ্বর ঠিক হয়ে যায়। মুখে খাওয়ার প্যারাসিটামল এবং বাচ্চাদের সিরাপ দিতে হবে, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি এবং তরল খাবার খেতে হবে। যেমন- লেবুর শরবত, ফলের জুস, ডাবের পানি খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে। প্ল্যাটিলেট বাড়ে যেমন-কাঠ বাদাম, দই, গ্রিন টি, ব্রোকলি, পালং শাক, বেদানা খেতে হবে।

পাশাপাশি ওপরে উল্লেখিত সতর্কতামূলক লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

প্রতিকার: মশার বংশবিস্তার রোধে বাড়ির আশপাশে পানি জমতে দেওয়া যাবে না এবং চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ফুল গাছের টব, ফুলদানি, পড়ে থাকা গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ারে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা, অব্যবহৃত কৌটা এবং ডাবের খোসা সরিয়ে ফেলতে হবে।

অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। তবে মশার কয়েল, স্প্রে অথবা মশা নিরোধক কেমিক্যাল ব্যবহার করা যেতে পারে। মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে বাচ্চাদের ফুলহাতা জামা, মোজা এবং জুতা পরাতে হবে। জানালায় নেট ব্যবহার করা যেতে পারে। ডেঙ্গু রোগীকে সবসময় মশারির ভিতরে রাখতে হবে, যাতে রোগীকে কোনো মশা কামড়াতে না পারে। অবহেলা না করে এ বিষয়ে সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com