সুস্থ জীবনযাপনের জন্য উন্নত হজম প্রক্রিয়া জরুরি। দেহে অতিরিক্ত মেদ জমার পেছনেও দায়ী এই বিপাকহার। যা ইংরেজিতে মেটাবলিজম নামে পরিচিত।
এটি এক ধরনের প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করে শরীর। কার বিপাকহার কেমন হবে, তা নির্ভর করে তার খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসের উপর। আবার এই বিপাকহারের উপর নির্ভর করে প্রায় সব শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া।
রক্তে শর্করার মাত্রা থেকে ঋতুস্রাবে হরমোনের প্রভাব— সবকিছুর সঙ্গে মেটাবলিজম জড়িত। শরীর সুস্থ রাখতে তাই বিপাকহার ভাল করতেই হবে। সাধারণ কিছু খাবার দিয়ে মেটাবলিজম হার উন্নত করা যায়। চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিই-
কফি
সকালে অনেকেই ঘুম ভাঙে কফির গন্ধে। এতে থাকা ক্যাফিন বিপাকহার বৃদ্ধি করে। দেহের অতিরিক্ত মেদ পুড়িয়ে সেখান থেকে শক্তি সঞ্চয় করতে সাহায্য করে। স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়ে ওজনের উপর।
তিসি
অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে বিপাকহার উন্নত হয়। আর ফাইবার, প্রোটিন ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ তিসি অন্ত্রের জন্য উপকারী। নিয়মিত তিসি খেলে ধীরে ধীরে মেটাবলিজম হার বাড়ে।
ডাল
বিপাকহার উন্নত করতে প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডাল উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস। এতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই ডাল অন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষা থেকে মেটাবলিজম বাড়ানো— দুই কাজই করে।
আদা
খাবার হজম না হলে অনেকেই আদা কুচি খেয়ে থাকেন। হজম ভালো হলে তার প্রভাব পড়ে বিপাকহারে। কেবল তাই নয়, ওজন ও রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে এই মসলাটি।
মরিচ
অনেকেই বিশ্বাস করেন, ঝাল খেলে ওজন কমে। ঝালের সঙ্গে মেদ ঝরার এই সম্পর্ক আসলে বিপাকহারের জন্য। মরিচে আছে ক্যাপসাইসিন নামক উপাদান যা মেটাবলিক রেট উন্নত করে। এটি দেহের অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।
চা
গ্রিন টি হোক বা দুধ, চিনি ছাড়া সাধারণ আদা চা— বিপাকহার উন্নত করার কার্যকরী উপাদান এটি। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে প্রতি দিন ৩ থেকে ৪ কাপ চা খেলে শরীরে মেটাবলিক রেট বেড়ে যায়। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ওবেসিটি’-র মতে হোয়াইট টি ৭০ থেকে ৯৫ শতাংশ ক্যালোরি পোড়াতে পারে।
অ্যাপল সিডার ভিনিগার
অনেকে সকালবেলা হালকা গরম পানিতে লেবুর রসের বদলে অ্যাপল সিডার ভিনিগার খেয়ে থাকেন। এই ভিনিগারে অ্যাসিডের পরিমাণ লেবুর চেয়ে বেশি। যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষা করে। একইসঙ্গে মেটাবলিজম রেট বাড়িয়ে তোলে।