দেশ ধ্বংসের কিনারায় পৌঁছে গেছে: মোশাররফ

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২২

ঢাকা: ‘বাংলাদেশ ভয়াবহ সংকটের মধ্যে রয়েছে। যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছেন তারাই দেশকে ধ্বংস করছেন। এই সংকট উত্তরণে দল-মত নির্বিশেষ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে একটি হোটেলে বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের নেতারা একথা বলেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। দেশ ধ্বংসের কিনারায় চলে গেছে। আজ যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছেন তারাই দেশকে ধ্বংস করছেন। দেশের জনগণ আর এই স্বৈরাচারী-ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আমাদের এখন দায়িত্ব এই সরকারের হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করা।

‘যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, দেশপ্রেমে বিশ্বাস করেন, তাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই। অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।’

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘দেশের অনেক দলের শীর্ষ নেতারা এখানে উপস্থিত আছেন। আমরা সবাই মিলে কাজ করলে দেশকে অন্ধকার থেকে উদ্ধার করতে পারব। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে রক্ষা করতে পারব।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আমরা নাকি সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছি। কিসের ষড়যন্ত্র? এই সরকারকে তো দেশের মানুষ আর চায় না। আমাদের বক্তব্য পরিষ্কার- আপনারা ভালো মানুষের মতো চলে যান। অন্যথায় আপনাদের বিদায় আরো করুণভাবে হবে।’

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী গত ক’দিন ধরে বলছেন যে সরকারের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র চলছে। আমি আমার গণতান্ত্রিক অধিকার চাই, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে গণতান্ত্রিক পন্থায় একটি নির্বাচন চাই। এসব কি ষড়যন্ত্র?

‘সরকারের মন্ত্রীদের এমন বক্তব্য তাদের নার্ভাসনেসের স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ। আর গত দু’টি নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনও যদি হয় তাহলে বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে নিমজ্জিত হবে।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা এখন আমাদের দায়িত্ব। এ জন্য আমাদের যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই।’

প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘সরকার শুধু উন্নয়নের কথা বলে। কিসের উন্নয়ন হয়েছে? দেশের মানুষের তো উন্নয়ন হয়নি। আর মানুষের উন্নয়ন না হলে তো কোনো উন্নয়নই ফলপ্রসূ হবে না।

‘২০১৮ সালের নির্বাচনের পর আমরা বুঝেছি যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। এ দেশের সব রাজনৈতিক দলের উচিত হবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়া।’

এদিন বেশ কয়েকজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা গণঅধিকার পরিষদে যোগদান করেন। তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনটির আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া।

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুরের সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিণ্টু, এনপিপি চেয়ারম্যান ডা. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল করিম ভূইয়া, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবীব লিঙ্কন, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, কবি ও লেখক ফরহাদ মজহার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও নৈতিক সমাজের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন এবং এবি পার্টির আহ্বায়ক ড. সোলায়মান চৌধুরী।

আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব ইয়ারুল ইসলাম, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, শায়রুল কবির খান, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসান, আবু হানিফ, মাহফুজ, সোহরাব, সাদ্দাম হোসেন, অ্যাডভোকেট খাদেমুল ইসলাম, যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ, আব্দুজ জাহের, সহকারী যুগ্ম আহ্বায়ক তামান্না ফেরদৌস শিখা, ফাতেমা তাসনিম প্রমুখ।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com