স্বাস্থ্য ডেস্ক : সুস্থতার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুব জরুরি। কারণ পুষ্টির অভাবে বিভিন্ন রোগ আমাদের দেহে সহজেই বাসা বাঁধতে পারে। এছাড়া সঠিক পুষ্টির অভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমতে থাকে। তাইতো নিজের শরীরের প্রতি আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
তবে এই যন্ত্রনির্ভর যুগে সব খাবারে সব সময় সুষম পুষ্টি পাওয়া যায় না। অথচ স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে প্রয়োজন ভরপুর পুষ্টির। তাই সুষম খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রাত্যহিক অভ্যাসেও বদল আনতে হবে। কীভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত-
প্রতিদিনের খাবারে প্রোটিন রাখুন:
প্রোটিন শরীরের এক অপরিহার্য উপাদান। শরীরের প্রতিটি কোষ ভালো রাখতে ও পেশি শক্তিশালী করতে প্রোটিন দরকার। দৈনিক কমপক্ষে অন্তত ২৫-৩০ গ্রাম প্রোটিন খাওয়াটা বাধ্যতামূলক বলা চলে। শরীরের প্রোটিনের পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখতে মাছ, মাংস, ফল, ডিম, দই খাওয়াটা জরুরি। বিশেষ করে মাছ প্রোটিনের সর্বোত্তম উৎস। এতে রয়েছে ওমেগা-৩, ভিটামিন ও খনিজ, যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
সবজি কাটার আগে ধুয়ে নিন:
ফল হোক বা সবজি কেটে ফেলার পর ধুলে পুষ্টিগুণ আর থাকে না। তাই খোসা ছাড়ানোর আগে ভালো করে ধুয়ে নিন। সবজি বা ফল কাটার পর না ধুলেই ভালো।
খাদ্যের ভারসাম্য বজার রাখুন:
শুধু প্রোটিন নয়, শরীর ভালো রাখতে অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানও জরুরি। খাবারে প্রোটিন ছাড়াও কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার এবং ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খান। এ সবই শরীরের প্রতিটি ক্রিয়াকলাপ স্বাভাবিক রেখে রোগের ঝুঁকি কমাবে।
শরীর আর্দ্র রাখুন:
শরীর সুস্থ রাখতে পানির বিকল্প নেই। পর্যাপ্ত পানি পানের অভাব অধিকাংশ শারীরিক সমস্যার মূল কারণ। প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সারাদিনে অন্তত ৫ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। পানি শরীরের যাবতীয় দূষিত বর্জ্য বের করে শরীর ঝরঝরে রাখে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করতে ব্যায়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। শরীরচর্চা হরমোন নিঃসরণ স্বাভাবিক রাখে। পেশিগুলো দৃঢ় ও মজবুত হয়। শরীর যাতে খাবারের থেকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ নিতে পারে সেই ক্ষমতা বাড়ায়। রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি ঘটায়।