গ্রীষ্মকালে তীব্র রোদে প্রায় সবারই শরীর ঘামে। এ কারণে শরীর অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তবে শুধু গ্রীষ্মকাল নয়, অন্যান্য ঋতুতেও কঠোর পরিশ্রমের কারণে শরীর ঘামে এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। কঠোর পরিশ্রমের কারণে যেকোনো সময়েই শরীর দুর্বল হয়। আর ঘামের কারণে হিট স্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন, ত্বকের সমস্যা ও ক্লান্তি দেখা দেয়।
এ অবস্থায় নিজেকে সবসময় সুস্থ রাখা প্রয়োজন। এ জন্য খাদ্যতালিকায় কিছু সহজলভ্য খাবার রাখলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। পাশাপাশি শরীরও সুস্থ থাকে। ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম সুস্থ থাকতে সুপারফুড জাতীয় কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানিয়েছে। যে খাবারগুলো শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রেখে সুস্থ রাখে আপনাকে। তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক-
ডাবের পানি:
ডাবের পানি হচ্ছে প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট। এটি শরীর ঠান্ডা রাখতে উপকারী। পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে ডাবের পানিতে, যা শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ব্যালান্স ঠিক রাখে। প্রতিদিন সকালে একগ্লাস পরিমাণ ডাবের পানি পান করলে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
তোকমা বীজ:
শরীর শীতল করার প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে তোকমা বীজ বা দানা। নিয়মিত এই দানা খাওয়ার ফলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি শরীর ঠান্ডাও থাকে। একগ্লাস পরিমাণ পানিতে কিছুটা দানা ভিজিয়ে রেখে লেবু মিশিয়ে তা খাওয়া হলে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে।
শসা:
শসাকে বলা হয় গ্রীষ্মকালের কুলিং ফুড। প্রচুর পরিমাণ পানি ও ফাইবার সমৃদ্ধ শসা খাওয়ার ফলে শরীর ঠান্ডা থাকে এবং ত্বকও উজ্জ্বল হয়। সালাদ বা স্মুদি হিসেবে শসা খেলে উপকার মিলে।
টক দই:
হজমে সহায়তার জন্য দারুণ উপকারী টক দই। এটি শরীরও ঠান্ডা রাখে। টক দইয়ে থাকা প্রোবায়েটিক উপাদান অন্ত্র ভালো রাখে এবং গরম থেকে হওয়া অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়। দুপুরে পরিমিত পরিমাণ টক দই খাওয়া হলে কার্যকরী ফল পাওয়া যায়।