বাঙালির সংগ্রামের প্রেরণা ছিলেন বঙ্গবন্ধু : প্রধানমন্ত্রী

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২২

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের র্দীর্ঘ ৯ মাস বাঙালির সংগ্রামের প্রেরণা ছিলেন বঙ্গবন্ধু।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে ‘মুক্তির স্বদেশে জাতির পিতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণভবন থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

এই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার দীর্ঘ প্রস্তুতি ছিল এই বাংলাকে শোষণমুক্ত করার।

তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্যে ক্ষুদা দারিদ্রমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবসময় বাঙালির হৃদয়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনারা তাকে সে দেশে নিয়ে বন্দি করে রাখে। কিন্তু তিনি সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পাশে ছিলেন। তিনি সশরীরে আমাদের মধ্যে ছিলেন না, কিন্তু তিনি বাঙালির হৃদয়ে ছিলেন। তার ৭ মার্চের ভাষণ ধারণ করে বাঙালি জাতি যুদ্ধ করেছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি তাঁর লক্ষ্য অর্জন করেছিলেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬ দফা, ৭০-এর নির্বাচন, ৭ মার্চের ভাষণ, সর্বশেষ আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের সর্বাগ্রে ছিলেন তিনি। তার ভাষণ মুক্তিকামী মানুষকে প্রেরণা জুগিয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর যেদিন তিনি দেশে এলেন, দিনটি আমাদের জন্য কেমন ছিল তা ভাষায় বোঝাতে পারবো না। ১০ জানুয়ারি তিনি ফিরে আমাদের (পরিবার) কাছে আসেননি। তিনি সোজা চলে গেলেন তার প্রিয় জনতার কাছে।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘১০ জানুয়ারির যে ভাষণ, তার মধ্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র কীভাবে চলবে তার দিকনির্দেশনা তিনি দিয়েছিলেন। তার এই ভাষণে বাংলা কেমন হবে তা উঠে এসেছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে যখন পাকিস্তানিরা মেরে ফেলতে চেয়েছে, তখন তিনি বলেছেন, আমাকে তোমরা মেরে ফেলতে পারো, কিন্তু আমার লাশটা বাংলার মাটিতে পৌঁছে দিও।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হয়তো পাকিস্তানি কারাগারে তিনি অনেক অত্যাচারিত হয়েছেন, কিন্তু আমাদের কাছে কোনও কষ্টের কথা কখনও বলেননি। শুধু রেহানাকে একবার বলেছিলেন, তোদের শোনার দরকার নেই, তোরা সহ্য করতে পারবি না। এ থেকেই আমরা তার ওপর অত্যাচারের বিষয়টি বুঝতে পারি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘তিনি ফিরে এসে দেশের মানুষের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে কাজ করতে শুরু করলেন। কিন্তু তিনি তা শেষ করতে পারলেন না। আঘাত এলো, ১৫ আগস্ট তাকে হত্যা করা হলো। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ছিল না; এটা ছিল একটি স্বাধীন দেশের চেতনাকে হত্যা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‌‘যে মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু এত কিছু করেছেন, তাদের ভাগ্যোন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠনই আমাদের লক্ষ্য। আমরা যেন সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারি।’ তার ওপর আস্থা রাখায় শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানান।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com