মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজকে অব্যাহতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার জায়গায় বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ( ০১ মে) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন যে তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে মাইক ওয়াল্টজকে অপসারণ করে তাকে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের এই ঘোষণা আসে একাধিক গুজবের পর, যেখানে বলা হচ্ছিল ওয়াল্টজ ও তার সহকারী অ্যালেক্স ওয়ং তাদের পদ হারাতে চলেছেন।
ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে মাইক ওয়াল্টজকে জাতিসংঘে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছি। তিনি আমাদের জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং নতুন দায়িত্বেও তিনি তা অব্যাহত রাখবেন।
ট্রাম্প আরও জানান, বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্বও গ্রহণ করবেন এবং দুই ভূমিকাই একসঙ্গে পালন করবেন। আমরা একসঙ্গে কাজ করে আমেরিকা ও বিশ্বকে আবারও নিরাপদ করার লড়াই চালিয়ে যাব।
এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম বড় কৌশলগত রদবদল হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে গোপন সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, ওয়াল্টজের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
ওয়াল্টজের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন একটি ঘটনার কারণে, যেখানে তিনি ভুলক্রমে একজন সাংবাদিককে সিগন্যাল অ্যাপে একটি ব্যক্তিগত চ্যাটে যুক্ত করেন, যেখানে মার্কিন সামরিক অভিযানের তথ্য শেয়ার করা হচ্ছিল। তবে ট্রাম্প সেই ঘটনায় ওয়াল্টজের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি এবং প্রকাশ্যে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন।
উল্লেখ্য, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদেও তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে একাধিকবার পরিবর্তন এনেছিলেন। মাইকেল ফ্লিন দিয়ে শুরু করে তিনি চার বছরেই চারজন উপদেষ্টা বদলান।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ফ্লোরিডার কংগ্রেসম্যান মাইক ওয়াল্টজ ২০১৯ সাল থেকে কংগ্রেসে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং ২০২৪ সালে পুনঃনির্বাচিত হলেও জানুয়ারিতে পদত্যাগ করে ট্রাম্প প্রশাসনে যোগ দেন। তার আগেও তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির অধীনে সন্ত্রাসবিরোধী উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন এবং আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিরোধিতা করেছিলেন।