ঢাকা : রাজধানীর মগবাজার রেলক্রসিং এর পাশে মগবাজার চারুলতা মার্কেট অবস্থিত বাজার গলিতে ফুটপাতের মাছ, তরকারী, কাচাঁমাল, তরমুজ, রেলক্রসিং এর পাশে অবস্থিত দুই চাবিওয়ালাদের কাছ থেকে মাসিক ভিত্তিতে চাদাঁ আদায় এবং সেখানে দোকান নিয়ে বসতে দেওয়ার শর্তে অগ্রীম টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে চোরা শাহীনের বিরুদ্ধে।
পুরা নাম শফিউদ্দীন শাহীন ওরফে চোরা শাহীন। শাহীনের বাড়ি মগবাজার বাজার রেলক্রসিংয়ের পাশে হওয়ায় অত্র এলাকাল স্বঘোষিত ইজারাদার সে। মানুষকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি, ধামকি, দিয়ে টাকা আদায় করা তার নিত্য-নৈমিত্তিক কাজ। বাকিতে বাজার নিয়ে টাকা পরিশোধ করেনা, পাওনা টাকা চাইতে গেলে অপমান অপদস্ত হতে হয় ব্যবসায়ীদের। চোরা শাহীন বিভিন্ন দোকান থেকে চুরি, চাদাঁবাজি, অর্থ আত্বসাৎ এর কারনে মগবাজার বাসী তাকে চোরা শাহীন হিসেবেই চিনে।
নাম পরিচয় গোপন রেখে শাহীনের ভয়াল অধ্যায়ের বর্ণনা করেন অসংখ্য মানুষ। শুধুমাত্র মগবাজার এলাকায় ভুক্তভোগী তাদের দুর্দশার কথা গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন। এক ভুক্তভোগী বলেন, “শাহীন প্রায়ই চাঁদা চায়। চাদাঁ না পেলে হামলা-মামলার হুমকি দেয়।
হাতিরঝিল থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হওয়ায় নিজেকে বিএনপির বড় নেতা পরিচয় দিয়ে দাপদ দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে যাচ্ছেন নিয়মিত। বিএনপি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে তার কৃতকর্মের জন্য জেল খাটতে হয় তাকে। দলের নেতাকর্মীরাও তার চাদাঁবাজি থেকে রেহাই পায়না। মগবাজার এলাকায় যদি কোন স্বামী-স্ত্রী ও যদি ঝগড়া হয় তা শাহীনের কানে গেলে ঝামেলা মিটিয়ে দেওয়ার নাম করে সেখান থেকেও অর্থ আত্বসাৎ করেন তিনি। বর্তমানে শাহীন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, এবং মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা আনারুজ্জামান আনোয়ারের অনুসারী।
জানা যায়, ৫ আগস্টের আগেও আর্থিক দুরবস্থায় ছিলেন বিএনপি নেতা শাহীন। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর এই বিএনপি নেতা নিজ এলাকায় চাঁদাবাজি, লুটপাট ও দখলদার বাহিনী গড়ে
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে শফিউদ্দীন শাহীন ওরফে চোরা শাহীনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
অতি শীঘ্রই চোরা শাহীনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে দেশের চলমান আইন শৃঙ্খলা অবনতি হতে পারে। তার বিরুদ্ধে বিশেষভাবে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্ৰহণের দাবি সাধারণ জনগণের। হয়তো তখনই কিছুটা স্বস্তি পাবে ভুক্তভোগী ও সাধারণ মানুষ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দলীয় এক শ্রেণির নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও লুটপাট ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে বিএনপি। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরকারের পতনের দিনই নেতাকর্মীদের আইন নিজ হাতে তুলে না নিতে কঠোর বার্তা দেন। এরই অংশ হিসেবে চাঁদাবাজি, লুটপাট ও দখলবাজির অভিযোগে ইতোমধ্যে কয়েকহাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে সাংগঠনিক ব্যবস্থা। এরপরও থেমে নেই শাহীনের চাঁদাবাজি-দখলবাজির অভিযোগ। বর্তমানে দলের কেউ চাঁদাবাজি-দখলবাজির সাথে জরিত থাকলে তাকে বহিস্কার এবং মামলা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার নজির রয়েছে বিএনপির । যা বাংলাদেশে কোন রাজনীতিক দলের নজির নেই।