চলমান বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রথম তিন ম্যাচের তিনটিই জিতে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দুর্দান্ত শুরু করা দলটি তারপরের ম্যাচেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারে । তবে সেই ম্যাচ হারলেও শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারালেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যেত তাদের। এমন সহজ সমীকরণে খেলতে নেমেও জিততে ব্যর্থ নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ফলে শঙ্কায় পড়লো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা।
এদিন লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করা টাইগ্রেসরা ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান সংগ্রহ পায়। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় পায় পাকিস্তানের মেয়েরা। তাতে ৬ দলের বাছাইয়ে পাঁচ ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপে পা রাখে ম্যান ইন গ্রিনের মেয়েরা।
১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শাওয়াল জুলফিকারকে আউট করেন মারুফা আক্তার। তবে এরপর আর টাইগ্রেস বোলাররা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখতে পারেনি। আরেক ওপেনার মুনিবা আলী ও সিফরা আমিনের ৮০ রানের জুটিতে ম্যাচ পাকিস্তানের দিকে হেলে পড়ে। ৫২ বলে ৫ চারে ৩৭ রান করা দিফরা আমিনকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন রাবেয়া খান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৪ রান যোগ করেন মুনিবা-আলিয়া রিয়াজ। ৯৩ বলে ৮ চারে ৬৯ রান করে নাহিদার বলে মুনিবা আউট হলে জুটি ভাঙে। তখন পাকিস্তানের জয়ের জন্য দরকার আর মাত্র ২৩ রান। আলিয়া ও নাতালিয়া পারভেজ বাকি কাজটা সারেন। ৬৫ বলে ৬ চার ও ১ ছয়ে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন আলিয়া। নাতালিয়া ২৬ বলে ১৩ রান করে সঙ্গ দেন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে টাইগ্রেসরা। ২১ রানে হারিয়ে বসে ৩ উইকেট। ওপেনার ফারজানা হক ০, দিলারা আক্তার ১৩ আর অধিনায়ক নিগার সুলতানা ফেরেন ১ করে। চতুর্থ উইকেটে শারমিন আক্তার আর রিতু মনি ৪৪ এবং পঞ্চম উইকেটে রিতু আর নাহিদা আক্তার গড়েন ৪৭ রানের জুটি। এরপর আর বলার মতো জুটি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। শারমিন ২৪ রান করে আউট হন।
রিতু মনি ৪৭ এবং একটা প্রান্ত ধরে ফাহিমা খাতুন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। ফাহিমার কল্যাণেই ৫০ ওভার শেষে বাংলাদেশের পুঁজি ৯ উইকেটে ১৭৮ রানে পৌঁছায়।
এই হারে বাংলাদেশ পাঁচ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাছাই পর্ব শেষ করল। অপরদিকে ৪ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ম্যাচে থাইল্যান্ডকে হারাতে পারলে বাংলাদেশের সমান পয়েন্টের মালিক হবে। সে ক্ষেত্রে রানরেটে এগিয়ে থাকা দল গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপে যাবে। অর্থাৎ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ খেলা এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করছে।