আমাদের পন্য সেজে আমাদেরই বিরুদ্ধে অদ্ভুদ এক অভিনব প্রতারণা ফাদঁ তৈরি করেছে আমাদের ওয়ালটন। মেড ইন বাংলাদেশ নাম দিয়ে নিম্নমানের চায়না পণ্যকে আমাদের পণ্য বলে প্রতারণাটা চলছে আমাদের সাথেই। এক ভুক্তভুগির সাথে কথা বলে জানা যায় আমি ওয়ালটনের পন্য ব্যবহার করতেছি ৭-৮ বছর হচ্ছে কিন্তু ফ্রিজে মাছ মাংশ রাখার পর ভালো থাকেনা। ঘন ঘন ফ্রিজ নষ্ট হয় তারপর গন্ধ হয়ে যায়। আইস কম হয়। কথায় আছে সস্তার তিন অবস্থা। কিন্তু ওয়ালটনের মানহীন পণ্য বিক্রি হচ্ছে অনেক দাম দিয়ে। ওয়ালটনের কমদামী পণ্য দাম দিয়ে কিনে শুধু যে ভোক্তারাই প্রতারিত হচ্ছে তা নয় । ওয়ালটনের প্রতারণার ফাঁদে সর্বস্ব হারিয়ে নি:স্ব হয়েছে খোদ ওয়ালটনের বিক্রয় প্রতিনিধিরা
ওয়ালটনের বিক্রয় প্রতিনিধিরা ওয়ালটনের বিরুদ্ধে পাহাড়সম অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়েছে আমাদের কাছে।
এমনি এক বিক্রয়কর্মীর অভিযোগ আমি বিগত দিনে প্রথম ব্যবসা শুরু করি ২০১২ সালে। আমার অন্যান্য ব্যবসা থেকে টাকা নিয়ে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করি। প্রথম পর্যায়ে আমি ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে কোম্পানি থেকে মাল নেই। আজকে আমার পুজি নাই, ব্যাংক লোন বিভিন্ন জায়গায় আমি ঋণগ্রস্ত। অথচ কোম্পানি আমার উপর ক্রমাগত প্রেসার দিচ্ছে আর বলছে যে আপনি যদি এখন মাল না নেন ব্যবসা না নেন আপনাকে রিকোভারি টিমে দেওয়া হবে, মামলা দেওয়া হবে।
এমনি একজন ভুক্তভোগী বিক্রয়কর্মীর স্ত্রী জানান, তারা নিজেদের ক্ষমতা বাজারে প্রকাশ করার জন্য আমাদের কে দিয়ে আন্ডাররেটে মাল সেল করায়। আবার আমাদেরকেই ধমকায়। আরেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে কান্নারত অবস্থায় বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান তার কথা বলে ফোন দিয়ে আমার পরিবারসহ আমার ছোটসন্তানসহ মামলা দিয়ে আমাদের জেলে পাঠায়। আমার পরিবার সহ ৩মাস জেল খেটেছি।
আরেকজন ভুক্তভোগী বিক্রয়কর্মীর স্ত্রী কান্নারত অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী ওয়ালটনের পণ্য বিক্রির একটা কিস্তি তুলতে গেছে, সেখানে কিস্তি নিয়ে ঝামেলায় ইট মেরে আমার স্বামীর মাথা ফেটে ফেলছে। অথচ তারা কোন খোজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে নাই।
ওয়ালটনের ব্যবসায়ীক ফাঁদে পড়ে সব হারিয়ে নি:স্ব এসব মানুষের চোখের পানি তাদের অসহায়ত্বকেই প্রকাশ করছে। এ অসহায়ত্ব সামাজিক মর্যাদা হারানোর, এ অসহায়ত্ব সহায়-সম্বল হারিয়ে
পথের ফকির হয়ে যাওয়ার। এমনি এক ভুক্তভোগী জানান, তারা যে সম্পদ, অট্টালিকা গড়েছে, তা আমাদেরকে মেরেই করেছে। আপনি সারাদিন যদি হেটেও বেড়ান তাহলেও শেষ করতে পারবেন না । এত অট্টালিকা তৈরি করেছে তারা। আর আমাদেরকে পথের ভিখারী বানিয়েছে। আজকে আমরা আমার সন্তানের পড়ার খরচ দিতে পারছিনা। সামনে পরিক্ষা, ফি দিতে পারছিনা।অসুখের জন্য চিকিৎসা করাতে পারছিনা। সারাদেশ থেকে এসে ওয়ালটনের ডিস্টিবিউটাররা আমাদের কাছে এক পাহাড় অভিযোগ তুলে ধরেন।
ডিস্ট্রিবিউটাররা বলছেন ওয়ালটন ও একই কোম্পানির আর একটি প্রতিষ্ঠান মার্সেল ব্রান্ডের কর্তৃপক্ষ টাকা নিয়েও পন্য দেয়নি তাদের, ফেরত দেয়নি পাওনা টাকাও।
এক ভুক্তভোগীর অভিযোগ ওয়ালটন ও মার্সেল একই কোম্পানি। একই সার্ভিস সেন্টার। কোম্পানি আমাকে বলল আরিফ ভাই আপনি তো ভালো ব্যবসা করতেছেন, আপনাকে ১ হাজার পিস মালে চালান করব আপনি ৬০ লক্ষ টাকা দিয়েন। তারা টাকা নিয়ে আমাকে কোন প্রোডাক্ট দেয়নি।
ডিস্ট্রিবিউটাররা বলছেন ২০১৯ সালে ২০ লাখ ফ্রিজ বাজারে বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারন করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ পুরণের জন্য ডিলারদের বিশাল কমিশন দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। ওয়ালটন ও মার্সেল পণ্যের জন্য আলাদা আলাদা কমিশন দেওয়ার কথা জানানো হয় ডিলারদের।
যত কমিশন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ওয়ালটন:
১> ওয়ালটনের পণ্যে বিক্রয়মুল্যে থেকে ৪০ শতাংশ
২ >মার্সেল পণ্যের ওপর ৪৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
তবে ডিলাররা অভিযোগ করেন প্রতিশ্রুতি না রেখে মাত্র ২০ থেকে ২৪ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন দেয়া হয় তাদের
এমনি একজন ডিলারঅভিযোগ করে বলেন, আমি ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ১০১ কোটি প্লাস মাল বিক্রি করেছি মার্সেলের। । আমি কমিশন হিসেব করে দেখি ২২ কোটি টাকা তাদের থেকে পাই। এখন লেজার পরিচালনা করে দেখি ১২ কোটি টাকা আমার কাছে ডিও দেখাচ্ছে। আমি যখন তাদের কাছে বললাম যে ১২ কোটি টাকা কেন। তখন তারা কি করছে পার্শবর্তী ২ ১ টা ডিলারদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমার ল্যাজার দাম কমিয়ে দিছে। যেখানে ১২ কোটি দেখাচ্ছে। যেখানে এসে আমাকে ৯ কোটি টাকা দেখাচ্ছে। আমি বলার পর তারা বলে আপনি ব্যবসা করতে থাকেন আমরা সমাধান দিচ্ছি।
বাজারে একক আধিপত্য বিস্তার করতে এবং ঘরে ঘরে ওয়ালটনের পণ্য ছড়িয়ে দিতে ডিলারদের ব্যবহার করেছে ওয়ালটন। এমন অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির লক্ষ্যে পূরণ করতে নানা রকম অসৎ উপায় চলমান রাখে ওয়ালটন। ওয়ালটনের প্রতিনিধিরা ডিলারদের না জানিয়ে অনান্য ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পণ্য বিক্রি করে। তবে এক্ষেত্রে ডিলারদের কোড ব্যবহার করে পণ্য দেয়া হয় অন্য ব্যবসায়ীদের। ওই পণ্য আবার ডিলারদের নাম ওঠায় ওয়ালটন। ফলে পণ্য ক্রয় না করেই দাম দিতে হয় ডিলারদের। আর ভুতুরে এই দাম শোধ করতে যেয়ে পথের ফকির হয়েছেন তারা।
ওয়ালটনের পণ্যের মান নিয়ে ক্ষোভ খোদ ওয়ালটন ডিলারদের:
ওয়ালটন চাইত না কোন কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসা করুক। একক ৯০ পার্সেন্ট শেয়ার এবং শুরুতে যখন আমরা ওয়ালটনের পণ্য বিক্রি করি তখন আমরা কাস্টমারের মাইর ও খেয়েছি বলে অভিযোগ করে জানান এক ডিলার।
ওয়ালটন যখন ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রি করার তাদের টার্গেট টা নিল। সে ২০ লাখ ফ্রিজ বিক্রির সাথে আমি যে কয়টা ফ্রিজ পাইছি সেটা আমার কাছে কোন চালান ও নেয়নাই, কোন লিখিত ও নেয়নি। কিন্তু লেজারের ভেতরে বিশাল বিশাল অ্যামাউন্ট সেখানে ঢুকায় দিছে।
সারাদেশ থেকে আসা ব্যবসায়ী ডিলাররা স্কাই নিউজ কে আরও জানান, তাদের নামে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয়ের ভুয়া রশিদ তৈরি করে ওয়ালটন। পরে সে অনুযায়ী তাদের বিল পরিশোধ করতে চাপ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ওয়ালটনের এমন চাপে পড়ে ব্যাপক ব্যাংক ঋণে জর্জরিত হয়ে যায় ডিলাররা। পরে সময়মত সে ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে উল্টো আরো চাপ বাড়ে তাদের। এ অবস্থায় মামলা দিয়ে এসব ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে ওয়ালটন। এতে করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হতে হয় তাদের। আবার অনেকে কারাভোগও করেছেন। অনেকের অভিযোগ ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মত ব্যবসায়ীদের শুষে নিচ্ছে ওয়ালটন।
ভুক্তভোগীরা জানায়, তারা চিটারি, বাটপারি করবে আর আমরা সেগুলা বলতে গেলেই আমাদেরকে মামলা দিবে, হয়রানি করবে, আমরাও তো মামলা করেছি, কোর্ট তো প্রমান দেখবে। মামলা, ব্যবসায়ীদের নানাভাবে জিম্মি করা এসব করতে একটা অন্যরকম একটা ফাঁদ তৈরি করে ওয়ালটন। ডিলাররা জানান, ওয়ালটন এবং মার্সেল কোম্পানি তাদের কাছ থেকে ব্যাংক চেক এবং ফাঁকা স্ট্যাম্প পেপারে জোর করে ভিন্ন কৌশলে স্বাক্ষর নেন। ফলে নিরুপায় হয়ে বিভিন্ন সময়ে ওয়ালটনকে বাড়তি টাকা দিতে বাধ্য হয় তারা।
এমনি এক ডিলার জানান, মামলা, হুমকি-ধামকি, আওয়ামী সরকারের আমলে তারা হুমকি-ধামকি দিছে। ভয় দেখিয়েছে। জোর করে ব্লাংক চেক নিছে। ওয়ালটনের এসব অসংগতি তুলে ধরার পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা স্কাই নিউজের কাছে বলেন, বাংলাদেশী পণ্য বলে প্রচার করলেও ওয়ালটনের বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ নিয়ে আসা হয় চীন থেকে। ওয়ালটনের যে সার্ভিসগুলো বা যন্ত্রাংশগুলো যদি দেশেই তৈরি করত তাহলে পার্টস নাই বলে আমার ফ্রিজ কেন ফেরত আসবে রাইস কুকার কেন ফেরত আসবে প্রশ্ন করেন এক ভুক্তভোগী। এছাড়াও টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটার বাইকসহ ওয়ালটন পণ্যর গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ডিলাররা। এক্ষেত্রে ওয়ালটনের পণ্য বিক্রি করে ভোক্তাদের কাছে নানাভাবে অপমান-অপদস্ত হতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। তারা বলেন আমরা যদি কাস্টমারদেরকে ওয়ালটনের মোবাইল ফোন সম্পর্কে বলি তাহলে তারা বলে না ভাই আপনাদের মোবাইল গরম হয়ে যায় চার্জ থাকে না নানাবিধ সমস্যা। ইন্টারন্যাশনাল ব্রান্ডের একটা ফ্রিজের সিস্টেম হচ্ছে ২০ বা ২৫ পার্সেন্ট ডিপ থাকবে এবং ৭০ পার্সেন্ট নরমাল থাকে। তারা করে ফিফটি ফিফটি অথবা ৫৫% নরমাল অথবা ৪৫% ডিপ। এক্ষেত্রে প্রডাক্ট নষ্ট হবে সাথে খাবারে গন্ধ হবেই। তারা কিন্তু মানতে রাজি না । দায়ভার দিয়ে দেয় দোকানদারের উপর।
ওয়ালটন তাদের পণ্যে বিভিন্ন মেয়াদের ওয়ারেন্টি দেয়ার কথা বললেও সেটি মানা হয়না কখনোই। সার্ভিসের নামে হয়রানি করা হয় গ্রাহকদের। হোম সার্ভিসের নামে নিয়মের কথা বলা হলেও সে সেবাও দেয়না ওয়ালটন। একইসঙ্গে নিয়ম না মেনে হুটহাট পণ্যের দাম বাড়িয়ে জিম্মি করা হয় ব্যবসায়ীদের। এতসব অভিযোগ করেন ডিলাররা।
২০২২ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম ২০ দিনে তারা ১৮ থেকে ২০ ভাগ দাম বাড়িয়েছে। কি কারন হিসেবে? কারন দেখায় ডলারের দাম বেড়েছে। ডলারের দাম যে বেড়েছে যে মালটা তুমি আজ যে মালটা কিনে নিয়ে এসেছো সে মালটা তুমি ৩ মাস পর প্রডাকশন করবা । সেক্ষেত্রে ৩ মাস পর দাম বাড়তে পারে । তারা আমাদের মাধ্যেমে অনেক বাটপারি করেছে, কিন্তু আমরা কিছু বলিনাই। কারন তারা অনেক বড় কোম্পানি। এত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ এবং প্রশাসনের ভয় ভীতি দেখিয়ে ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রন করতেন ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
ওয়াল্টন-মার্সেলের প্রতারণার বিরুদ্ধে ১০ দফা দাবিতে ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন:
ওয়াল্টন ও মার্সেল কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে সারা দেশের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ীরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে ৬৪ জেলার ব্যবসায়ী ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ডিলাররা কোম্পানির বিরুদ্ধে ১১ দফা দাবি উত্থাপন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হল:
প্রতিশ্রুত কমিশন এবং বকেয়া টাকার পরিশোধ।
ডেবিট এডজাস্টমেন্টের নামে বাড়তি টাকা ফেরত।
ডিলারদের বাজার দখল বন্ধ এবং তাদের কাছে থেকে নেওয়া ব্ল্যাংক চেক ফেরত।
ক্ষতিগ্রস্ত পণ্য প্রতিস্থাপন এবং ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের সুযোগ।
ডিলারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি ৭ দিনের মধ্যে এসব দাবি পূরণ না হয়, তাহলে তারা সারা দেশে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ীদের একত্রিত করে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবেন। এই কর্মসূচি ইলেকট্রনিক্স বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তৃতায় ক্ষতিগ্রস্ত ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম রাজীব বলেন, ওয়ালটন ও মার্সেলের সঙ্গে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা করে দেশের ৬৪ জেলার ডিস্ট্রিবিউটররা প্রতারণার শিকার হয়েছে। আমরা এই দেশের নাগরিক, আমাদেরও পরিবার আছে। আমরা আমাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁচতে চাই। আমাদের ৪০-৪৫% ছাড়ে পণ্য বিক্রির বাধ্যবাধকতা থাকলেও কমিশন দেওয়া হয়েছে যৎসামান্য। এ ছাড়া আমাদের হিসাব লেজারে কোম্পানির ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে অস্বচ্ছ ও অস্বাভাবিক অর্থের লেনদেন যোগ করে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাই ৬৪ জেলার ডিস্ট্রিবিউটরদের সঙ্গে করা কোম্পানির এই প্রতারণার বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
মানববন্ধনে শতাধিক ব্যক্তি অংশ নিয়ে কোম্পানি দুটির বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।