আওয়ামীলীগ দীর্ঘ ১৬ বছরের শাসনামলে গুম-খুন এবং গণহত্যার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু।
সোমবার (২৬ আগস্ট) টাংগাইলের ভূয়াপুর ও গোপালপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ পলাশ ও শহীদ ইমনের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান-এর পক্ষ থেকে সহযোগিতার অংশ হিসেবে, টাংগাইলের ভূয়াপুরে শহীদ পলাশ ও গোপালপুরের শহীদ ইমনের পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের খোঁজ খবর নেন এবং একটি ইজিবাইক প্রদান ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে বিএনপি ।
টুকু বলেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট হাসিনা মুক্ত করার সৈনিক পলাশ ও ইমন পুলিশের গুলিতে শাহাদাতবরণ করেছেন। আন্দোলনে আমাদের অসংখ্যা ভাই পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন। এই রক্ত কখনো বৃথা যেতে পারে না, তাদের এই আত্মত্যাগ আমাদেরকে আরও শক্তিশালী করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গুম-খুন-হত্যার মধ্যদিয়ে একদলীয় শাসনকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তারা বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। সরকার বাকশাল কায়েমের জন্য গুলি চালিয়ে অসংখ্যা ছাত্রদের হত্যা করেছে।
আনসার সদস্যদের আন্দোলন নিয়ে সুলতান সালাউদ্দীন বলেন, গতকাল সচিবালয়ে ঘেরাও করে আনসার সদস্যদের পোশাক ব্যবহার একটা গোলযোগ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ছাত্ররা সেটা নস্যাৎ করে দিয়েছে। এটা কিন্তু অশনিসংকেত। অর্থাৎ যারা পরাজিত শক্তি তারা চায় বিভিন্নভাবে এই বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চোখ, কান খোলা রাখতে হবে। এই ফ্যাসিস্ট বিতাড়িত হওয়ার পরে শেখ হাসিনার সহযোগী ও তার ষড়যন্ত্রের সাথে যারা জড়িত ছিল তারা বসে নেই। বাংলাদেশ এবং বিএনপিকে বিচ্ছিন্ন করা যাবেনা,সুতারাং আমাদেরকে জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ ভাবে যে আকাঙ্খার সৃষ্টি হয়েছে, সকলে মিলে সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, টাংগাইল জেলা বি এন পির সভাপতি ওবায়দুল হক নাসির, সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামিল শাহিন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এড. ফরহাদ ইকবাল, জেলা যুবদলের আহবায়ক মাহমুদুল হক সানু, রাশেদুল আলম প্রমুখ।