বন্যা মোকাবিলায় দেশের সকল নদ-নদী খননের আহ্বান জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। এ ছাড়া নদী খননের নামে গত ১৫ বছরের দুর্নীতি ও লুটপাটের তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছে নাগরিক সংগঠনটি।
রবিবার (২৫ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে সরকারের কাছে এই দাবি জানান।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ভাটির দেশ। এখানে বর্ষা মৌসুমে স্বাভাবিকভাবেই উজানের পানি আসবে। আবার বড় বড় নদীসহ দেশের সিংহভাগ নদী দখল-দূষণ, অবহেলা আর তীব্র নাব্যসংকটে বিপন্নপ্রায়। আন্ত:সীমান্ত নদীর পানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে ফারাক্কা বাঁধ ও তিস্তা ব্যারাজের মতো সমস্যাও রয়েছেই। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে মাঝে মধ্যে অতিবর্ষণ ও ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছাস আঘাত হানছে। এ পরিস্থিতিতে বন্যা মোকাবিলায় নদীগুলোর পানি ধারণক্ষমতা বাড়ানো অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
বিবৃতি দাতারা বলেন, সব নদ-নদী খনন করে গভীরতা বাড়াতে হবে; যাতে দেশের সব নদ-নদীর পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ-ভারতের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ৫৪টি আন্ত:সীমান্ত নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার আহ্বান জানান জাতীয় কমিটির নেতারা।
নদী খনন ও বিলুপ্ত নৌপথ উদ্ধারের নামে গত ১৫ বছর দুর্নীতি ও লুটপাটের মচ্ছব হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চপর্যায়ের জাতীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আমলা, প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের আইনের আওতায় আনতে হবে।