শিরোনাম
লিলকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় লিভারপুল বঙ্গভবন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এখনো ‘অ্যাডমিন ক্যাডার’ হিসেবে কর্মরত সাবেক আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা চিহ্নিত ছাত্রলীগ ক্যাডাররা এস কে সুরের গোপন ভল্টের সন্ধান বলিউড থেকে সরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে কারণ জানালেন নার্গিস মেঘনা পেট্রোলিয়ামের দুর্নীতির মহারাজা ইনাম ইলাহী চৌধুরী লস অ্যাঞ্জেলেসে কষ্টের কথা জানান নোরা শেষ মুহূর্তে উসমান ম্যাজিক, হ্যাটট্রিক শিরোপা পিএসজির আসিফ নজরুলকে শেখ হাসিনার বিষয়ে যা বলেছিলেন খালেদা জিয়া নারী সহকর্মীকে খুন করে দেহ ২৬ টুকরো, অতঃপর…… ২৯ সেপ্টেম্বর দেখা যাবে দ্বিতীয় চাঁদ, থাকবে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত

টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের পাশে হারুনের কোটি টাকার জমি

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪

কক্সবাজারের টেকনাফে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ও সাবেক ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নামে ৩৩ শতাংশ জমির খোঁজ মিলেছে। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের রাজারছড়া এলাকায় মেরিন ড্রাইভের পাশে জমিটি ইটের সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা। এই জমির বর্তমান বাজারমূল্য কোটি টাকা বলে জানিয়েছে এলাকার লোকজন।

এদিকে সাবেক ডিবিপ্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদের অবৈধ সম্পদের তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া তার ও স্ত্রী শিরিন আক্তারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

স্থানীয় ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, টেকনাফ মৌজার ৭৪৬৮ নম্বর খতিয়ানের ১০৪৭৫ দাগে ৮ শতাংশ এবং ১০৪৭৩ দাগে ২৫ শতাংশ জমি আছে হারুন অর রশিদের নামে। এছাড়া ১৭২৫ দাগে আছে ২২ শতাংশ জমি। ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে মোহাম্মদপুর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পশ্চিম আগারগাঁও উত্তর অংশ, যার হোল্ডিং নম্বর ১২০৭। তার জমির খতিয়ানের নামজারি ও জমাভাগ মামলা নম্বর ছিল ২৪৪২ (আই)/২০২১-২২ এর ৩১/০১/২০২২ তারিখের আদেশমতে অত্র খতিয়ান সৃজন করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করা হয়। জমির বিক্রেতা ছিল টেকনাফের হাতিয়ারগুলা নেঙ্গুরবিলের আবদুল হাকিম, সাবরাংয়ের চান্দলী পাড়ার সোনা আলী, হাবিয়া খাতুন ও আবদুস সালাম।

খতিয়ানটি সত্যায়ন করেছেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সহকারী ভূমি এরফানুল হক চৌধুরী এবং উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো দেলাওয়ার হোসাইন ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন। খতিয়ানটিতে দেখা যায়, হারুন অর রশিদের মালিকানাধীন মোট জমির পরিমাণ ৩৩ শতাংশ। জমিটির বর্তমান বাজার মূল্য কোটি টাকা।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশের শীর্ষ পদে থাকার সময় অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। কীভাবে প্রভাব বলয় ব্যবহার করে এত সম্পদ অর্জন করেছেন, তা আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে। শুধু হারুন অর রশিদ নয়; আরও অনেক সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের নামে বেনামে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ ও সেন্টমার্টিনে কোটি কোটি টাকার অবৈধ টাকায় সম্পত্তি কেনার অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, টেকনাফের সদর ইউনিয়নের বাহারছড়া ঘাট এলাকায় মেরিন ড্রাইভের তীরে গেট দিয়ে চারপাশে বাউন্ডারি জমি ঘেরা দেওয়া হয়। এ জমির তত্ত্বাবধায়ক মোস্তাক মিয়া নামে একজন ব্যক্তিকে পাওয়া গেছে। তবে জমিটি এক বিএনপি নেতার তত্ত্বাবধানে রয়েছে বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে।

জমির বিষয়ে মোস্তাক মিয়া বলেন, ‘এ জমি ডিবি হারুনের। গত চার মাস ধরে এটা আমি দেখভাল করছি। আমি ছাড়া স্থানীয় মো. রাাসেলসহ এক বিএনপি নেতাও এটি দেখাশোনা করেন।’

টেকনাফে ডিবি হারুনের জমির বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ সাফফাত আলী বলেন, ‘ডিবির হারুনের সম্পদের হিসাব চেয়ে এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি পাইনি।’

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com