মাত্র পাঁচ হাজার রুপি নিয়ে ভারত এসেছিলেন নোরা। বলিউডে জায়গা পেতে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে তাকে। এক ফ্ল্যাটে নয়জনের সঙ্গে বাস করতে হয়েছে। অর্থের অভাবে করতে হয়েছে ক্ষুধার কষ্ট। বলছি বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির কথা। খুব অল্প সময়েই নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন এই তিনি। তবে অভিনয়ের চেয়ে নাচেই বেশ পারদর্শী নোরা। শুধু তাই নয়, বলিউডে তিনি ‘বেলি ডান্স কুইন’ হিসেবে পরিচিত।
এদিকে প্রতিষ্ঠিত নারীদের অনেকেই নারীবাদের আদর্শে বিশ্বাসী। সবসময় ভাবেন পুরুষরা নারীদের পদে পদে প্রতিবন্ধকতকা তৈরি করে। তবে সাবলম্বী নারী হয়েও এই ধারণা পোষণ করেন না নোরা। তিনি মনে করেন নারীবাদ সমাজকে ধ্বংস করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, এই ধারণায় আমার দরকার নেই। নারীবাদ শব্দটা আসলে একটা সি…। এটা একটা ঢেউয়ের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। এতে আমি বিশ্বাস করি না। আসলে আমি মনে করি, নারীবাদ আসলে আমাদের সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
এরপর বলেন, পাশ্চাত্য-প্রাচ্যের সামাজিক ধ্যান-ধারণার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এখানে নারীবাদের নামে বলা হচ্ছে, পুরুষরা আসলে মেয়েদের স্বাধীনতায় বাধা, পুরুষরা খারাপ, বিয়ে কোরো না, সন্তানের জন্ম দিও না, এগুলো সব পুরনো ধ্যান-ধারণা, এইসব…। এগুলো আখেরে সমাজের ক্ষতিই করছে, পারিবারিক বন্ধন নষ্ট করছে।
এই অভিনেত্রী আরও বলেন, পুরুষরা খাবার সরবরাহকারী, উপার্জনকারী এবং মহিলা লালনপালনকারী, এতে খারাপ কী আছে! আমার তো খারাপ মনে হয় না! নারীবাদকে যেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। আমি মনে করি, নারীরা লালন-পালনকারী, হ্যাঁ তবে তাদেরও কাজ করা উচিত এবং তাদেরও নিজস্ব জীবন থাকা উচিত এবং স্বাধীন হওয়া উচিত। তবে সেটাকে নারীবাদের নামে যেভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে নোরা অভিনীত ‘মাদগাঁও এক্সপ্রেস’। এটি পরিচালনা করেছেন কুণাল খেমু। ছবিটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিব্যেন্দু, প্রতীক গান্ধী এবং অবিনাশ তিওয়ারি।