আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হলো কিডনি। এই অঙ্গটি প্রস্রাব তৈরি থেকে শুরু করে দেহ থেকে রেচন পদার্থ বের করে দেওয়া, ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ, অত্যন্ত জরুরি কিছু হরমোন তৈরিসহ একাধিক কাজ একা হাতে সামলায়।
তাই সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে চাইলে কিডনির হাল ফেরাতেই হবে। এই কাজে আপনাকে সাহায্য করবে অত্যন্ত উপকারী কিন্তু সস্তার ফল কলা। তাই আর সময় নষ্ট না করে কিডনির হাল ফেরানোর কাজে কলার ভূমিকা সম্পর্কে বিশদে জেনে নিন।
সুস্থ থাকবে কিডনি
বিশেষজ্ঞদের কথায়, কিডনির স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত কলা খেতেই হবে। কারণ কলায় রয়েছে পটাশিয়ামের ভাণ্ডার। এই উপাদান বৃক্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত।
এমনকি এই উপাদানের গুণে ক্রনিক কিডনি ডিজিজের বাড়বাড়ন্তও আটকে রাখা যায়। এই সারসত্য ২০১৯ সালের একটি গবেষণাতেও প্রমাণিত হয়েছে। তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই কলাকে ডায়েটে জায়গা করে দিন। তাতেই হাতেনাতে পাবেন উপকার।
ডায়ালিসিসে চলবে না
সিকেডি-এর অন্তিম পর্যায়ে বা ডায়ালিসিস চলাকালীন কিন্তু পটাশিয়াম সমৃদ্ধ কলা না খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। নইলে যে বড় ফাঁসা ফেঁসে যাবেন। তাই ক্রনিক কিডনি ডিজিজ থাকলে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পরই এই ফল খান। তবে এই রোগের প্রথম পর্যায়ে কলা অত্যন্ত উপকারী। তাই অনায়াসে এই ফল খেতে পারেন।
হার্টেরও বন্ধু
আজকাল হার্টের অসুখে আক্রান্তের সংখ্যা বহুগুণে বেড়েছে। সেই কারণে সবাইকেই হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের দিকে নজর ফেরানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এই কাজে সাফল্য পেতে চাইলে কলা খেতে হবে। কারণ এই ফল পটাশিয়াম এবং ম্য়াগনেশিয়ামের ভাণ্ডার। এই দুই উপাদান হার্টকে সুস্থ রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই হৃৎপিণ্ডের হাল ফেরাতে চাইলে দ্রুত এই ফলের শরণাপন্ন হন।
পেটের সমস্যা নিপাত যাবে
বাঙালিদের মধ্যে গ্যাস, অ্যাসিডিটির প্রকোপ অনেকটাই বেশি। পেটের সেই সমস্যাকে কাবু করার কাজেও কলার জুড়ি মেলা ভার। কারণ এই ফলে রয়েছে এমন কিছু ফাইবার, যা অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। কোলোনে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে যে অচিরেই পেটের সমস্যা দূর হবে, তা বলাই বাহুল্য! সেই কারণেই গ্যাস, অ্যাসিডিটিতে ভুক্তভোগীদের নিয়মিত কলা খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার
আমাদের অতি পরিচিত কলা হলো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের খনি। এই উপাদান শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কাটানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। সেই কারণেই নিয়মিত কলা খেলে ক্যানসার থেকে শুরু করে একাধিক জটিল-কুটিল ক্রনিক রোগের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমে বৈকি। তাই আর দেরি না করে আজ থেকেই কলাকে ডায়েটে জায়গা করে দিন।