ভারতের বেঙ্গালুরুতে এক তরুণীকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রাখার মত চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন খোদ তরুণীর প্রেমিক।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেঙ্গালুরুর ভ্যালিকাভাল এলাকায় নিজ বাড়িতে রেফ্রিজারেটরে ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণীর খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মহালক্ষ্মী নামের ওই তরুণী একটি অ্যাপার্টমেন্টে একাই বসবাস করতেন। নিজ অ্যাপার্টমেন্টের ফ্রিজেই তার টুকরো টুকরো করা মরদেহ পাওয়া যায়। তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
লোমহর্ষক এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির মরদেহ ওড়িশা পাওয়া গেছে। পুলিশের সূত্র বলেছে, ধারণা করা হচ্ছে ওই ব্যক্তি আত্মহত্যা করে মারা গেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মুক্তি রঞ্জন জয় নামের ওই ব্যক্তির মরদেহ ওড়িশার ভদ্রাক জেলায় একটি গাছের ঢালে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বেঙ্গালুরুতে খুন হওয়া এক নারী সহকর্মীর তিন বন্ধুর মধ্যে মুক্তি রঞ্জন অন্যতম অভিযুক্ত।
অভিযুক্ত খুনি মুক্তি রঞ্জন জয় বেঙ্গালুরু থেকে পালিয়ে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তার গ্রামের পাড়ি পান্ডিতে আসেন। অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, স্থানীয়রা ওই ব্যক্তির মরদেহ খুঁজে পেয়েছে।
ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করার পর পুরো শহরের লোকজন চমকে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করা মাহালক্ষ্মীর দেহের টুকরোগুলো পচে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, অন্তত দুই সপ্তাহ আগে তাকে খুন করা হয়।
স্থানীয় প্রতিবেশীরা পাশের ফ্ল্যাটে দুর্গন্ধ পাওয়ার পর মাহালক্ষ্মীর পরিবারের লোকদের খবর দেয়। পরে ত্রিপুরায় বসবাস করা ওই নারীর মা এবং বোন এসে গত শনিবার তার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে মরদেহের টুকরো উদ্ধার করে।
মাহালক্ষ্মী একটি মলে কাজ করতেন। তিনি স্বামীর কাছ থেকে আলাদা থাকতেন। তবে মাহালক্ষ্মীর হত্যাকাণ্ডে তার তিন বন্ধুকে দায়ী করেছেন স্বামী।
মাহালক্ষ্মীর স্বামী হেমন্ত দাস বলেন, উত্তরাখণ্ডে তার স্ত্রীর একজন বন্ধ রয়েছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা। সূত্র: এনডিটিভি