ন্যাটো গোটা ইউক্রেনকে হতাশ করেছে: জেলেনস্কি

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ১২ জুলাই, ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন ন্যাটোয় যোগ দেবে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কবে দেবে, তা এখনই স্থির করা যাচ্ছে না। ন্যাটোয় যোগদানের সমস্ত শর্ত পূরণ হলে তবেই ইউক্রেন এই সামরিক গোষ্ঠীতে যোগ দিতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে ন্যাটোয়। সে সময় কতদিনে আসবে, তার নির্দিষ্ট কোনো উল্লেখ নেই।

ন্যাটোর এই সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। লিথুয়ানিয়ায় দাঁড়িয়ে তিনি বলেছেন, ন্যাটো যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা তিনি মেনে নিতে পারছেন না। তিনি আশা করেছিলেন, ন্যাটো স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেবে।

লিথুয়ানিয়ায় দুইদিনের ন্যাটোর বৈঠক শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ছিল প্রথম দিন। বস্তুত, তার আগেই যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনকে এখনই ন্যাটোয় নেওয়া হবে না। তার বক্তব্য ছিল, ইউক্রেনকে এখনই ন্যাটোয় নেওয়া মানে রাশিয়ার সঙ্গে সার্বিক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া। অর্থাৎ, শুধু ইউক্রেন নয়, ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তো।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই অভিমত, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউক্রেনের ন্যাটোয় যোগদান নিয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তার আগে নয়। কারণ, প্রতিটি দেশই জানিয়েছে, ইউক্রেনের যোগদান নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।

এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘ন্যাটোর এই সিদ্ধান্ত একটি বড় মিথ্যা। ইউক্রেন তার সমস্ত শক্তি দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। গোটা ইউরোপকে রক্ষা করছে। অথচ ন্যাটো ইউক্রেন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।’ লিথুয়ানিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানকে পাশে নিয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনের প্রত্যেক সেনা, প্রতিটি মানুষ আশা করেছিল ন্যাটো স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু ন্যাটো গোটা ইউক্রেনকে হতাশ করেছে।

লিথুয়ানিয়া-সহ পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি অবশ্য ইউক্রেনকে সমর্থন করেছে। বস্তুত, লিথুয়ানিয়া প্রথম অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনকে সাহায্য করেছিল। তখনো রাশিয়া ইউক্রেনকে আক্রমণ করেনি। পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি মনে করে, ইউক্রেনকে দ্রুত ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।

আমেরিকা জানিয়েছে, ইউক্রেনকে যেভাবে সাহায্য করা হচ্ছে, তা চালিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু ইউক্রেনের বক্তব্য, আমেরিকার এই আশ্বাসে তারা সম্পূর্ণ স্বস্তি পাচ্ছে না। কারণ ২০২৪ সালে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নতুন প্রেসিডেন্ট এসে এই সমস্ত আশ্বাসবাণী বদলে দিতে পারেন। তাই একটি স্পষ্ট সিদ্ধান্ত চাইছে ইউক্রেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com