ক্রীড়া ডেস্ক: টানা দুই ম্যাচ হেরে এবারই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। তাই টাইগারদের লক্ষ্য সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়ানো। তবে আফগানদের লক্ষ্য এখন টাইগারদের হোয়াইটওয়াশ করা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর দুইটায়। এর আগে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ শেষে আফগানদের প্রধান কোচ জনাথন ট্রট জানিয়েছিলেন ৩-০ তেই সিরিজ জিততে চান তারা। একদিন পর অবশ্য দলটির পেস বোলিং কোচ হামিদ হাসানও জানালেন সেই একই কথা। তবে বাংলাদেশ থেকে নিজেদের রেখেছেন এক ধাপ ওপরে।
হামিদ বলছিলেন, ‘হ্যাঁ (অবাক হয়েছি)। আমরা কিছুটা ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছি। তাদের চেয়ে সম্ভবত এক ধাপ এগিয়ে ছিলাম আমরা। এ কারনেই তারা আমাদের বোলারদের ধরতে পারেনি অথবা ব্যাটারদের থামাতে পারেনি। এটাই সম্ভবত মূল বিষয় ছিল, আমরা ভেবেছি আমরা বাংলাদেশের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে এবং ফলাফল আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন।’
আফগানিস্তানের সাবেক পেসার হামিদ অবশ্য এটা মানছেন যে টাইগারদের ঘরের মাটিতে হারানো কঠিন, ‘বাংলাদেশকে তাদের মাটিতে হারানো আমার মনে হয় না সহজ কাজ। কিন্তু এর পেছনেও আমরা অনেক কাজ করেছি। আমরা প্রতিদিন ৫-৬ ঘণ্টা অনুশীলন করেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে নিজেদের প্রতি আমাদের বিশ্বাস ছিল। এটা সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যদি আপনার নিজের ওপর বিশ্বাস থাকে তাহলে আপনি যে কাউকে হারাতে পারবেন।’
তবে টাইগারদের সহকারী কোচ নিক পোথাস দুই ম্যাচ দেখেই টাইগারদের বিচার করছেন না, ‘শেষ দুই ম্যাচে ওদের (বাংলাদেশ ক্রিকেটার) পারফরম্যান্সের কথা বলা হচ্ছে। এটাই আসলে মূল ব্যাপার। সবাইকে এটা ভুললে হবে না আমরা বিশ্ব মানের ক্রিকেটারদের দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়ে পরিমাপ করছি। আমরা ভুলে যাচ্ছি আগে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওরা কি করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উচিত ওদেরকে লম্বা সময়ের জন্য মাপা। এখানে সবাই দ্রুত ফল চায় কিন্তু ক্রিকেটে ফলটা লম্বা সময়ে আসে। তাই ক্রিকেটারদের লম্বা সময়ের ফলে মাপা উচিত।’
আগামী অক্টোবরের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেরা প্রস্তুতির লক্ষ্যে এই সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটিংয়ের দুরাবস্থা যেন সতর্কবার্তা হয়েই এসেছে দলের জন্য। বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপেও নামবে দল। এই দুই টুর্নামেন্টে ভালো করার জন্য চ্যালেঞ্জিং বোলিং আক্রমণের সামনেও ব্যাটসম্যানদের ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ দল : লিটন (অধিনায়ক), রনি, শান্ত, সাকিব, মুশফিক, হৃদয়, মিরাজ, তাইজুল, তাসকিন, মোস্তাফিজ, হাসান, শরিফুল, আফিফ এবং নাইম শেখ।
আফগানিস্তান দল : হাশমতউল্লাহ (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ, ইব্রাহিম, রিয়াজ, রহমত, নাজিবউল্লাহ, নবি, ইকরাম, রশিদ, আজমাতউল্লাহ, মুজিব, ফজল হক, আবদুর রহমান, শহিদুল্লাহ, জিয়াউর, ওয়াফাদার, সেলিম, সাঈদ শিরজাদ।