সিলেট : তরুণরা রাস্তায় নেমে গেছে, সরকারের আর রেহাই নেই বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু বলেন, এ যুদ্ধে সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা রাজপথ ছাড়বো, আ’লীগের সময় শেষ। আমরা সব দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাবো, ইনশাআল্লাহ।
রবিবার (০৯ জুলাই) নগরীর চৌহাট্টা এলাকার সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, বাক স্বাধীনতা, নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা এবং মেধাভিত্তিক কর্মসংস্থান এর দাবীতে সিলেট বিভাগীয় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, আওয়ামী লীগের অপশাসনে দেশের মানুষ ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে ফেলেছে। সরকার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, তারা ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে পারবে না। জনগণ এই সরকারকে আর দেখতে চায় না
তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্র, মানুষের স্বাধীনতা, দেশের স্বাধীনতা, ন্যায়-সত্যের জন্য লড়াই করছি। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীন জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াই শুরু হয়েছে, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই চলবে।
যুবদল সভাপতি বলেন, সরকার যত নির্যাতন করুক, নেতাকর্মীদের কারারুদ্ধ করুক, আন্দোলন দমানো যাবে না। আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রামে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে যুবদল সভাপতি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের এই সমাবেশ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে চুড়ান্ত আন্দোলনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনে চালিয়ে যেতে হবে। এ অবৈধ সরকার জোর করে আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। সরকার পতনের আন্দোলন চলমান, পতন না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে। বাংলাদেশ আজকে পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান তিনি।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস. এম জীলানীর সভাপতিত্বে, এবং যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক রাজীব আহসানের যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা, সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হোসেন জীবন, কলিম উদ্দিন মিলন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক এস এ সালাম, সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি জাকির সিদ্দিকী, মহসিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হাসান স্বাধীন, বিল্লাল হোসেন তারেক, সাইদুর রহমান, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সৈয়দ শহীদুল আলম টিটু, সহ-প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ফকির লিংকন প্রমুখ।