শিরোনাম
গোপনে বাংলাদেশে এসে টিউলিপের তথ্য নিয়ে গেছে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা পুণ্যের সন্ধানে মহাকুম্ভের পথে পুনম পান্ডে কুম্ভমেলায় পদদলনের ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ১৫, আহত শতাধিক এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় চুক্তি ফকিরহাটে ৬০০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, আটক ২ লিলকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় লিভারপুল বঙ্গভবন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এখনো ‘অ্যাডমিন ক্যাডার’ হিসেবে কর্মরত সাবেক আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা চিহ্নিত ছাত্রলীগ ক্যাডাররা এস কে সুরের গোপন ভল্টের সন্ধান বলিউড থেকে সরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে কারণ জানালেন নার্গিস মেঘনা পেট্রোলিয়ামের দুর্নীতির মহারাজা ইনাম ইলাহী চৌধুরী

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ৭ বছর আজ

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় শনিবার, ১ জুলাই, ২০২৩

ঢাকা : রাজধানীর গুলশান-২ এর লেক পাড়ের হলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার সাত বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত ৮টা ৪০ মিনিটে নব্য জেএমবির পাঁচ জঙ্গি বেকারিতে ঢুকে নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা গুলশানের নিরিবিলি এলাকায় অবস্থিত রেস্তোরাঁর চারদিকে অবস্থান নেয়। গ্রেনেডের এবং গুলির শব্দে গুলশান-বনানীসহ আশপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে। সারা রাত চলে জঙ্গিদের সঙ্গে আত্মসমর্পণের আলোচনা। কিন্তু কোনও কিছুতেই রাজি না হওয়ায় পরদিন পুলিশ, র‌্যাব, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সর্বোপরি সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে কমান্ডো অভিযান শুরু হয়। অভিযানে ৫ জঙ্গি নিহত হয়।

হামলায় নিহত জঙ্গিরা হলো— রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, নিবরাস ইসলাম, মীর সামিহ মোবাশ্বের, খাইরুল ইসলাম পায়েল ও শফিকুল ইসলাম উজ্জল ওরফে বিকাশ। এর আগে জঙ্গিদের গ্রেনেড ও গুলিতে বনানী থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম নিহত হন।

এদিকে এই ঘটনার পরপর দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা ও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। আন্তর্জাতিক মহলেও নজরে আসে ভয়াবহ এ হামলার ঘটনা। হামলার পরপর জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করে এবং নিজেদের মুখপাত্র ‘আমাক’ নিহত জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ করে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা গেছে, হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তামিম আহমেদ চৌধুরী, জাহিদুল ইসলাম, তানভির কাদেরী, নুরুল ইসলাম মারজান, আবু রায়হান তারেক, সরোয়ার জাহান, আব্দুল্লাহ মদ ফরীদুল ইসলাম, আকাশ ওরফে চকলেট ও ছোট মিজান। দীর্ঘ দুই বছর তদন্ত শেষে সিটিটিসি ২১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

বিভিন্ন সময় অভিযানে ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি ও এ ঘটনায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা সন্দেহভাজন বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকেও মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। বিচার শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ট্রাইবুনাল হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ৭ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

প্রতিবারের মতো এবারও হামলার স্থান হলি আর্টিজানে নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com