আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তান সীমান্তের কাছে পশ্চিম ভারতে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের আঘাতে অন্তত দুইজন নিহত ও ২২ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে গুজরাট রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানার পর ঝড়টি দুর্বল হয়ে পড়লেও এখনও রাজ্য জুড়ে বৃষ্টি ও প্রবল বাতাস নিয়ে অতিক্রম করছে।
এতে গাছ উপড়ে গেছে, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে এবং কিছু জেলায় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। খবর বিবিসির।
স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, ভাবনগর শহরের দুই গবাদি পশু চাষী বাবা ও ছেলে তাদের ছাগল বাঁচাতে একটি প্লাবিত গিরিখাদে প্রবেশ করার সময় ভেসে গেছে।
ভারতীয় কর্মকর্তাদের দ্বারা ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কিত অন্য কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানও কোনো হতাহতের খবর দেয়নি। তবে সিন্ধুর উপকূলীয় অঞ্চলে ৮০ হাজারেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আসার আগে দুই দেশের এক লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি লোককে নিচু অঞ্চল থেকে সরিয়ে নেৃওয়া হয়েছে।
উভয় দেশের স্কুল অডিটোরিয়াম এবং অন্যান্য সরকারি ভবনগুলোতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় বৃহস্পতিবার ভারতের বন্দরনগরী গুজরাটের জাখাউ নগরে আঘাত হানে ঘণ্টায় ১২৫ কিমি (৭৮ মাইল) বেগে।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ তখন থেকে ঝড়ের শ্রেণিবিভাগকে ‘খুব তীব্র’ থেকে ‘গুরুতর’-এ কমিয়ে দিয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ায় আগামী দুই দিন রাজস্থান এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
গুজরাটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে ঝড়ের কারণে প্রায় ৯৯টি ট্রেন পরিষেবা বাতিল থাকবে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়কে একটি ‘ক্যাটাগরি ওয়ান’ ঝড় হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এটি এক থেকে পাঁচ স্কেলে সবচেয়ে কম তীব্র। তবে পূর্বাভাসকারীরা বলেছিলেন, এটি ২৫ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলের সবচেয়ে খারাপ ঝড় হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় উত্তর আটলান্টিকে হারিকেন এবং উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে টাইফুন নামেও পরিচিত। ভারত মহাসাগরে এটি নিয়মিত এবং মারাত্মক ঘটনা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরব সাগর জুড়ে পৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোকে আরও বিধ্বংসী ঝড়ের ঝুঁকিতে ফেলেছে।
গত সপ্তাহে পাকিস্তানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে কমপক্ষে ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যেখানে ভারতে এই সপ্তাহে সাতজন মারা গেছে।