আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানে প্রবল বৃষ্টিতে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৪৫ জন। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণের জেরে ঘরবাড়ি ধসে পড়ার পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।
শনিবার (১০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন জেলায় মুষলধারে বৃষ্টিতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রদেশের চারটি জেলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছে। ৬৯টি বাড়ি আংশিক ধ্বংস হয়েছে।
এছাড়া উপড়ে পড়া গাছ বৈদ্যুতিক ট্রান্সমিশন টাওয়ারে ভেঙে পড়াসহ বৃষ্টি সংক্রান্ত নানা ঘটনায় আরও ১৪৫ জন আহত হয়েছেন। কর্মকর্তারা আহতদের জরুরি ত্রাণ প্রদানের জন্য কাজ করছেন বলে আহমেদ জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। নিহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি তিনি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় ২৪ ঘণ্টার ভেতর ত্রাণ প্রদানের রিপোর্ট প্রদানেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এর আগে, গত মাসে গ্রীষ্মকালীন অস্বাভাবিক তুষারপাতের সময় তুষারধসে প্রায় এক ডজন লোক নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও ছিল।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শনিবার ঝড়-বৃষ্টির কারণে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ কার্যক্রমের গতি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, আরব সাগর থেকে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় করাচি উপকূলে এগিয়ে আসায় শেহবাজ শরিফ কর্মকর্তাদের জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এজেন্সি জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার (ঘণ্টায় ৯৩ মাইল) বেগে বাতাসের গতিবেগসহ ‘গুরুতর এবং তীব্র’ এই ঘূর্ণিঝড়টি দেশের দক্ষিণ দিকে এগিয়ে আসছে।
পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে এটি ঘূর্ণিঝড়টিকে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি ঠিক কোথায় আঘাত হানবে সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না বলে শনিবারের সতর্ক বার্তায় জানানো হয়।
এর আগে, গত বছর অতিবৃষ্টির কারণে ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার মুখে পড়েছিল পাকিস্তান। ভয়াবহ সেই বন্যায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কমপক্ষে ১ হাজার ৭৩৯ জন প্রাণ হারান। নিহতদের মধ্যে ৬৪৭ জন শিশু।