ঢাকা: ১১ জানুয়ারি সারাদেশে বিভাগ ও মহানগরে সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গণঅবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগরী বিএনপির কর্মসূচি পালন করা হবে।
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই ঘোষণা দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির খন্দকার মোশাররফ অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেফতার সকল নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বে আমরা ১০টি বিভাগীয় গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সফল করেছি। আজকের গণমিছিলও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা জনগণের পক্ষে দশ দফা ঘোষণা করেছি। তারই প্রথম কর্মসূচি হলো গণমিছিল। আজকে এসব দফার প্রতি দেশের সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং জোট সমর্থন জানিয়েছে। আমাদের ১০ দফার মূল হলো- অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে বিএনপির গণসমাবেশ থেকে জনগণ অংশ নিয়ে আওয়াজ তুলেছে অবিলম্বে এই সরকাররে পদত্যাগ করতে হবে। তারা আর জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। স্বৈরাচার হওয়ায় তারা গণতন্ত্র হত্যা করে বাকশালি কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। তারা দিনের ভোট রাতেই ডাকাতি করে। তাদের সঙ্গে জনগণ নেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজকে সরকারি দলের লোকেরা বিদেশে টাকা পাচার করে ব্যাংকগুলো শুন্য করে ফেলেছে। অর্থনীতি ধ্বংসের শেষ সীমানায় চলে গেছে। দেশে বিচারবিভাগ দলীয়করণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলেছে। তাদের দ্বারা অর্থনীতি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, কোনো স্বৈরাচার বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। এরশাদ পারেনি। আইয়ুব খান পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারও পারবে না। আমি বলব- এসে দেখে যান বিএনপির সঙ্গে জনগণ আছে কি নেই? আজকে পাড়া মহল্লায় পাহারা দিয়েও জনগণকে ঘরে আটকে রাখতে পারেননি। আমরা আমাদের দফা আদায়ে আরও শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করব। আমরা গণতান্ত্রিকভাবে এসব কর্মসূচি পালন করব। এই স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করতে হলে রাজপথে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।