ঢাকা: পুঁজিবাজারে লেনদেনে গতি ফেরাতে তালিকাভুক্ত ১৬৯ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর তুলে নেওয়া হয়েছে। একইসাথে এসব কোম্পানির শেয়ারদর এক দিনে কমার সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ হয়েছে ১ শতাংশ। ফলে ১০ টাকার নিচে থাকা শেয়ারের দর কমতে পারবে না।
১০ থেকে ২০ টাকা দর আছে এমন কোম্পানির দর একদিনে কমতে পারবে ১০ পয়সা। বুধবার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, দরপতনের হারের সীমা কমানো হলেও দর বৃদ্ধির হারের সীমা আগের মতোই এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হবে। তবে কোনো কোম্পানির শেয়াররে দর ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে হলে এক দিনে ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০ থেকে এক হাজারের বেশি হলে এক দিনে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়তে পারবে।
এ বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, মার্কেটের লেনদেন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৬৯টি প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়েছে। এই কোম্পানিগুলো মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশনের মাত্র ৫ শতাংশ অবদান রাখে।
ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হলেও শর্ত দেওয়া হয়েছে দুটি। একদিনে কোম্পানির শেয়ারের দাম সর্বনিম্ন ১ শতাংশ কমতে পারবে। আর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারবে। চলতি বছরের ২৮ জুলাই দরপতন ঠেকাতে পুঁজিবাজারর দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস আরোপ করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।