১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৪ কোটি ১০ লাখ ডলার

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২

ঢাকা: দেশে ডলার সংকটের মধ্যে চাপ বাড়াচ্ছে প্রবাসী আয়। রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দেওয়ার পরেও বাড়ানো যাচ্ছে না। তবে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের চেয়ে কিছুটা বাড়ছে। ডিসেম্বরের ১৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার।

দেশীয় মুদ্রায় প্র‌তি ডলার ১০৭ টাকা ধ‌রে হিসাব করলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ হাজার ৬৮ কোটি টাকা। এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে তা ১৭০ কোটি ডলার অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। গত নভেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার।

রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। তথ্য অনুযায়ী, আলোচ্য সময়ে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। এসব ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৬ কোটি ৭৮ লাখ ডলার।

এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪২ লাখ মার্কিন ডলার ও বিশেষায়িত এক ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ২৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

আলোচিত সময়ে সাত ব্যাংকে কোনও রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে পারেনি। এগুলো হলো- বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি খা‌তের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, উরি ব্যাংক এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোনও রেমিট্যান্স আসেনি।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে বিভিন্নভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) থেকে প্রবাসীদের উদ্দেশে জানায়, বৈধপথে বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স প্রেরণ করুন, প্রিয়জনকে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ রাখুন। হুন্ডি বা অন্য কোনও অবৈধপথে রেমিট্যান্স না পাঠানোর জন্য এভাবে আহ্বান জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, প্রবাসী বাংলাদেশিদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে (হুন্ডি বা অন্য কোনও অবৈধপথে) প্রেরণ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ এবং এতে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রবাসীদের উদ্দেশে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, আপনাদের অর্জিত মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা হুন্ডি বা অন্য কোনও অবৈধপথে না পাঠিয়ে বৈধপথে বা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে প্রেরণ করুন, দেশ গড়ায় মূল্যবান অবদান রাখুন এবং আপনার প্রিয়জনকে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ রাখুন। আরও জানায়, অবৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে প্রমাণ সাপেক্ষে প্রচলিত আইনে বিএফআইইউ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

এ ছাড়া রেমিট্যান্স বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেগুলোর মধ্যে- বৈধ উপায়ে ওয়েজ আর্নার্স রেমিট্যান্সের বিপরীতে আড়াই শতাংশ নগদ প্রণোদনা, সরকার রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের সিআইপি সম্মাননা প্রদান, রেমিট্যান্স বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজীকরণ পাশাপাশি অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণ অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সাথে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধকরণ এবং রেমিট্যান্স প্রেরণে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ করা হয়েছে।  

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ মার্কিন ডলার, আগস্টে এসেছে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ মার্কিন ডলার এবং নভেম্বর এসেছে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ মার্কিন ডলার।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com