স্পোর্টস ডেস্ক: চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল বাংলাদেশ দল। তবে দিনের শেষ দুই সেশনে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে গেছে টাইগাররা। তবে জয় যে অসম্ভব, তা নয়। শেষ দিনে ২৪১ করলেই জিতবে সাকিব আল হাসানের দল। সাকিব ও মেহেদী মিরাজের ব্যাটে আশার আলো রেখেই চতুর্থ দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। টাইগারদের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ২৭২ রান। সাকিব ৪০ এবং মিরাজ ৩ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে আজ (১৭ ডিসেম্বর) চতুর্থ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শ করেছেন জাকির হাসান। গতকাল ১৭ রানে অপরাজিত থেকে দিন পার করার পর আজ ৮৩ রান যোগ করে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান বাঁহাতি এই ওপেনার।
এর মাধ্যমে ওপেনার হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটাও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ২১৯ বলে ১৩ চার ও ১ ছয়ে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন জাকির।
জাকির ছাড়াও এর আগে অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আরো তিন ক্রিকেটার। দেশের প্রথম টেস্টে আমিনুল ইসলাম বুলবুল গড়েছিলেন এই কীর্তি। এরপর মোহাম্মদ আশরাফুল ও পেসার আবুল হাসান রাজুর মাধ্যমে দেখা মিলেছিল এমন কিছুর। চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এই তালিকায় ঢুকেছেন জাকির।
সেঞ্চুরি করে জাকির ফেরার পরই ব্যাটিং ধস নামে টাইগার শিবিরে। মুশফিকুর রহিমের পর ফিরে যান নুরুল হাসান সোহানও। দলীয় ২৩৫ রানের মাথায় আক্সার প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ২৩ রান করে ফিরে যান মুশফিক। একই ওভারে ফেরেন নুরুল হাসান সোহানও। উইকেটকিপার এই ব্যাটার করেন ৩ রান।
এর আগে দুই উইকেট হারানোর পর লিটন দাস এবং জাকির হাসানের জুটিতে বড় পার্টনারশিপের আশা দেখছিল বাংলাদেশ দল। তবে চা বিরতির মিনিট দশেক আগেই ঘটে বিপত্তি। কুলদীপ যাদবের বলে ব্যক্তিগত ১৯ রানে লং অনের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন, ভেঙে যায় ৪২ রানের জুটি।
চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে জাকির-শান্তর জুটিতে বেশ ভালোই এগিয়েছিল বাংলাদেশ দল। তবে দলীয় ১২৪ রানের মাথায় উমেশ যাদবের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শান্ত। ৬৭ রানে থাকা অবস্থায় ফিরে যান এই ওপেনার। ইয়াসির আলী রাব্বি ৫ রানের বেশি করতে পারেননি।
এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ফলো অন না করিয়ে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নামে প্রথম ইনিংসে ৪০৪ রান করা ভারত।
দ্বিতীয় ইনিংসে শুভমান গিল ও চেতেশ্বর পূজারার সেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে ২৫৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ফলে বাংলাদেশের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৫১৩ রানের।