শিরোনাম
গোপনে বাংলাদেশে এসে টিউলিপের তথ্য নিয়ে গেছে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা পুণ্যের সন্ধানে মহাকুম্ভের পথে পুনম পান্ডে কুম্ভমেলায় পদদলনের ঘটনায় প্রাণহানি বেড়ে ১৫, আহত শতাধিক এলএনজি সরবরাহে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় চুক্তি ফকিরহাটে ৬০০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ, আটক ২ লিলকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় লিভারপুল বঙ্গভবন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এখনো ‘অ্যাডমিন ক্যাডার’ হিসেবে কর্মরত সাবেক আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা চিহ্নিত ছাত্রলীগ ক্যাডাররা এস কে সুরের গোপন ভল্টের সন্ধান বলিউড থেকে সরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে কারণ জানালেন নার্গিস মেঘনা পেট্রোলিয়ামের দুর্নীতির মহারাজা ইনাম ইলাহী চৌধুরী

২ কোটি নাগরিকের বিঘ্ন সৃষ্টি করলে পুলিশ কি তাকিয়ে থাকবে?

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২২

ঢাকা : রাজধানীর ২ কোটি নাগরিকের বিঘ্ন সৃষ্টি করলে পুলিশ কি তাকিয়ে থাকবে? ১০ ডিসেম্বরের মতো ভবিষ্যতেও এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ সক্ষম বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

আজ শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মহান বিজয় দিবস-২০২২ উপলক্ষে বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরে দুই কোটির লোকের বসবাস। সেই দুই কোটি লোকের বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন, আর পুলিশ তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে? গত ১০ ডিসেম্বর আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পার করেছি। ভবিষ্যতেও এমন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ সক্ষম।

বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে পুলিশের সূচনা ১৯৭১ সালে আপনারা করে দিয়েছিলেন ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন, জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন অনেকেই। সেই পুলিশের সদস্য হিসেবে গর্ব করে বলতে পারি যে, ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক আপনারা সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১-২০২২ পর্যন্ত ধরে রেখেছি।

খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, জাতির সব ক্রান্তিকালে ডিএমপি সর্বদা জাতির পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনারা যেভাবে একাত্তরে বুকের রক্ত বিলিয়ে দিয়ে যুদ্ধ করেছেন, আপনাদের পরবর্তী প্রজন্ম তারাও জাতির সব ক্রান্তিলগ্নে জাতির পাশে ছিল। ২০১২-১৩ সালে অগ্নিসন্ত্রাসীরা পুলিশকে পুড়িয়ে মেরেছিল। কিন্তু পুলিশ দমে যায়নি, মনোবল হারায়নি। ২০১৫-১৬ সালে জঙ্গিবাদের সময় অনেক পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধের যুদ্ধে আমরা হেরে যায়নি। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধের যুদ্ধে পুলিশ জয়ী হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পুলিশ যেমন জীবন দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতার জন্য, বিজয়ের জন্য যুদ্ধ করেছেন, আমরাও পরবর্তী সময়ে বাঙালি জাতির জন্য সব ক্রাইসিস মোমেন্টে পাশে ছিলাম। অগ্নিসন্ত্রাসীদের যেমন আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি, তেমন জঙ্গিবাদকেও আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা নিয়ে যদি কেউ ছিনিমিনি খেলতে চায়, বাংলাদেশ পুলিশ তা হতে দেবে না।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কয়েক বছর ধরে অনেক চেষ্টা করেছে, তারা পারেনি। আবার তারা নতুন খেলায় মেতে উঠেছে। নতুন খেলায় তাদের সফল হতে দেব না।

বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে কমিশনার বলেন, আপনারা এ বয়সেও লাঠি হাতে যুদ্ধের জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আমাদের সহকর্মীদের শরীরে টগবগে রক্ত, তারা কেন পারবে না? আপনাদের সাহসে এ তরুণ পুলিশ সদস্যরাই এ দেশকে সন্ত্রাস-জঙ্গিদের থেকে মুক্ত রাখবে ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) সৈয়দ নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপপুলিশ কমিশনারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com