আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শান্তি আলোচনার অংশ হিসেবে ইউক্রেইন নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হতে ইচ্ছুক এবং দনবাস অঞ্চলের বিষয়ে আপস করতে চায়, এমনটি জানানোর কিছুক্ষণ পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশের অখণ্ডতা রক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন।
তুরস্কে চলতি সপ্তাহে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তার আগে জেলেনস্কি এসব কথা বলেছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
রোববার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়ার এক ভিডিও ভাষণে জেলেনস্কি বলেছেন, ইস্তাম্বুলের শান্তি আলোচনায় তার সরকার ইউক্রেইনের ‘আঞ্চলিক অখণ্ডতার’ বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেবে।
তবে একইদিন এর আগে রাশিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে জেলেনস্কি ভিন্ন সুরে কথা বলেছেন। তিনি তাদের জানিয়েছেন, ইউক্রেইন নিরপেক্ষ দেশ হতে ইচ্ছুক এবং শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলের মর্যাদা নিয়ে আপস করতে চায়।
ওই সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ভিডিও কলে জেলেনস্কি বলেছেন, কোনো সমঝোতা হলে তৃতীয় কোনো পক্ষকে অবশ্যই তার নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং গণভোটের মাধ্যমে ওই সমঝোতার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রুশ ভাষায় তিনি বলেছিলেন, “আমাদের রাষ্ট্রের অপারমাণবিক অবস্থা, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এবং নিরপেক্ষতা। আমরা এর জন্য প্রস্তুত।”
এই সাক্ষাৎকারের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ না করার জন্য রাশিয়ার গণমাধ্যমকে ক্রেমলিন আগেই সতর্ক করে দিয়েছিল।
এর আগে ইউক্রেইনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কিরিলো বুদানভ বলেছিলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেইনকে দুই ভাগে বিভক্ত করে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো মস্কো-নিয়ন্ত্রিত পূর্বাঞ্চল তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছেন।
রাশিয়ার বাহিনীগুলো আক্রমণ ঠেকাতে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ট্যাঙ্ক, বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র সাহায্য চেয়েছিলেন জেলেনস্কি।
রোববার পুতিনের সঙ্গে এক ফোন কলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান রাশিয়া ও ইউক্রেইনের মধ্যে শান্তি আলোচনা আয়োজন করতে সম্মত হন।
এরদোয়ানের দপ্তর জানিয়েছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট যুদ্ধবিরতি ও উন্নত মানবিক পরিস্থিতি তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন।
রাশিয়া ও ইউক্রেইনের আলোচকরা জানিয়েছেন, ইস্তাম্বুলে দুই পক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনা হবে।