গাজা থেকে দ্বিতীয় ধাপে ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম। তারা বর্তমানে ইসরাইলের পথে আছেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় প্রথম ধাপে ৭ জিম্মিকে রেডক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তারা ইতিমধ্যে ইসরাইলে পৌঁছেছেন। জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবারগুলোর সংগঠনের তথ্যমতে, মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা হলেন—গালি বারমান, জিভ বারমান, এইটান আব্রাহাম মর, ওমরি মিরান, মাতান আংগ্রেস্ট, আলোন ওহেল, গাই গিলবোয়া-ডালাল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হামাস গাজায় যে ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হচ্ছে সেটা যুক্তরাষ্ট্র জানে। তিনি দাবি করেন, গোষ্ঠীটিকে ‘সাময়িক সময়ের জন্য’ সশস্ত্র থাকার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসরাইলে পৌঁছানোর আগে এয়ারফোর্স ওয়ানে এক সাংবাদিক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, হামাস ‘নতুন করে অস্ত্রসজ্জিত’ হচ্ছে এবং নিজেদের ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। জবাবে ট্রাম্প বলেন, কয়েক মাসের যুদ্ধের পর গোষ্ঠীটি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তারা (হামাস) এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছে এবং আমরা তাদের কিছু সময়ের জন্য সশস্ত্র থাকার অনুমোদন দিয়েছি।’ তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলেন, ‘আপনাকে বুঝতে হবে, তারা সম্ভবত ৬০ হাজার মানুষ হারিয়েছে। এটি এক বিশাল ক্ষতি।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় অন্তত ২০ হাজার শিশুসহ ৬৭ হাজার বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ট্রাম্প আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চায়, নিজ নিজ বাড়িঘরে ফিরে আসা গাজায় বাসিন্দারা যেন নিরাপদে পুনর্গঠন কাজ করতে পারেন। তিনি গাজাকে ‘আক্ষরিক অর্থেই ধ্বংসস্তূপ’ বলে উল্লেখ করে বলেন, মানুষ নিজেদের বাড়িঘরে ফিরে আসার সময় ‘অনেক খারাপ ঘটনা ঘটতে পারে’।
হামাসের অস্ত্র ত্যাগের সময়সীমা যুদ্ধবিরতি চুক্তির অন্যতম প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখন ও কীভাবে তাদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্রীকরণ করা হবে, তা নিয়ে আলোচকদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
তেল আবিবে বিমানবন্দরে অবতরণের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেখানে তিনি ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেবেন এবং জিম্মিদের কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এরপর গাজা শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে মিসরের অবকাযাপনকেন্দ্র শারম এল-শেখের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন ট্রাম্প। ওই সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ প্রায় ২০ জন বিশ্বনেতা উপস্থিত থাকবেন।
গাজা থেকে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। প্রথম ধাপে মুক্তিপ্রাপ্ত সাতজন ইসরাইলে প্রবেশ করেছেন। এরই মধ্যে ইসরাইলে পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
গাজা থেকে প্রথম ধাপে মুক্তি পাওয়া সাত জিম্মি ইসরায়েলে প্রবেশ করেছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেনাবাহিনী বলেছে, মুক্তি পাওয়া সাত জিম্মি কিছুক্ষণ আগে ইসরায়েল সীমান্ত অতিক্রম করেছেন। তাঁরা বর্তমানে দক্ষিণ ইসরায়েলের প্রাথমিক অভ্যর্থনা কেন্দ্রে যাচ্ছেন। সেখানে তাঁরা তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হবেন।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এয়ার ফোর্স ওয়ানে করে ওয়াশিংটন থেকে দীর্ঘ ফ্লাইট শেষে শিগগিরই ইসরাইলে অবতরণ করবেন ট্রাম্প।
ইসরাইল ১২ জন ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফেরত পাঠানোর কথা থাকলেও এখন তাদের নির্বাসিত করা হবে বলে জানানো হয়। রোববার রাতে ইসরাইলের পক্ষ থেকে বন্দীদের পরিবারের সদস্যদের এই পরিবর্তনের কথা জানানো হয়েছে।
আল–জাজিরার সাংবাদিক নুর ওদে জর্ডান থেকে এতথ্য জানিয়েছেন।
আল–জাজিরার সাংবাদিক আরও বলেন, যারা তাদের সন্তানদের নির্বাসিত করার কথা আগেই জানতে পেরেছিলেন, তারা রোববার অধিকৃত পশ্চিম তীর ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাঁদের অনুমতি দেয়নি। এই মুহূর্তে সেখানে একটি আবেগঘন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আল–জাজিরা সাংবাদিক জানান, ইসরাইল কখন গাজার ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেবে, তা নিয়েও ব্যাপক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া সাতজন ইসরাইলি জিম্মিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গ্রহণ করেছে। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
জর্ডানের আম্মান থেকে আল-জাজিরা প্রতিবেদক নুর ওদেহ বলেন, জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তাদের অবস্থা মোটামুটি ভালো বলে জানা গেছে। তাঁরা হাঁটতে পারছেন। চিকিৎসা সহায়তার প্রয়োজন হচ্ছে না। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর নিশ্চিত করেছে।
গাজায় মুক্তি পাওয়া সাত ইসরাইলি জিম্মির নাম জানা গেছে। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে আটক অবশিষ্ট ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে শুরু করেছে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সাতজনকে মুক্তি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হামাস।
জিম্মি ও নিঁখোজ পরিবারগুলোর সংগঠনের তথ্যমতে, মুক্তি পাওয়া জিম্মিরা হলেন—গালি বারমান, জিভ বারমান, এইটান আব্রাহাম মর, ওমরি মিরান, মাতান আংগ্রেস্ট, আলোন ওহেল, গাই গিলবোয়া-ডালাল।