সাম্প্রতিক ফর্মটা ভালো যাচ্ছে না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। যে কারণে চাকরি হারানোর শঙ্কায় ছিলেন কোচ রুবেন আমোরিম। কদিন পরে যা-ই হোক, আপাতত চাকরিটা ‘বেঁচে গেছে’ পর্তুগিজ কোচের। সান্ডারল্যান্ডকে হারিয়ে এক ম্যাচ পর আবার জয়ে ফিরেছে রেড ডেভিলরা।
শনিবার (৪ অক্টোবর) ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে প্রতিপক্ষকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানইউ। গোল করেছেন ম্যাসন মাউন্ট ও বেনিয়ামিন সেসকো। এ নিয়ে লিগে ঘরের মাঠে টানা তিন ম্যাচ জিতল ইউনাইটেড। ২০২৩ সালের আগস্টের পর গত দুই বছরে যা আর দেখা যায়নি।
পুরো ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে দুই দলই ছিল প্রায় সমানে-সমান। গোলের জন্য ১৫ শট নিয়েছিলো ইউনাইটেড, তার মধ্যে লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে মাত্র ৬টি। বিপরীতে সান্ডারল্যান্ড শট নিয়েছিলো ৮টি, তার মধ্যে লক্ষ্যে ছিলো মাত্র ৩টি।
ম্যাচটি ছিল ইউনাইটেডের ডাগআউটে আমোরিমের ৫০তম। মাইলফলকের ম্যাচে শুরুতেই গোল হজম করতে পারত ইউনাইটেড। চতুর্থ মিনিটে সান্ডারল্যান্ডের বার্টান্ড ত্রাওর বক্সের সামনে ফাঁকায় বল পেয়েও পা ছোঁয়াতে পারেননি। সূবর্ণ সুযোগ নষ্টের কয়েক মিনিট পরই খেসারত দিতে হয় সফরকারীদের।
৮ মিনিটের সময় ব্রায়ান এমবিউমোর কাছ থেকে পাওয়া বল জালে জড়িয়ে ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন মাউন্ট। প্রিমিয়ার লিগে ইউনাইটেডের জার্সিতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে তার প্রথম গোল এটি, সব মিলিয়ে তৃতীয় গোল। এই গোলটি ইউনাইটেড খেলোয়াড়দের টানা ১৮টি পাসের ফসল।
ইউনাইটেড দ্বিতীয় গোল পায় ৩১তম মিনিটে, সেসকোর সৌজন্যে। স্বাগতিকদের ফ্রি-কিক সফরকারীরা ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হওয়ার পর কাছ থেকে গোলটি করেন লাইপজিগ থেকে আসা এই স্লোভেনিয়ান। ইউনাইটেডের হয়ে টানা দুই ম্যাচে জালের দেখা পেলেন ২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
ঘরের মাঠে জিতে আপাতত অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে ইউনাইটেড। ৭ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ১০। ১ ম্যাচ কম খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে ৭ নম্বরে তাদের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটি। ৭ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে সান্ডারল্যান্ড।