ফিলিস্তিনিদের সহায়তার জন্য স্পেন থেকে গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার (জিএসএফ) ত্রাণবাহী নৌযানগুলো জব্দ করেছে ইসরাইলি নৌবাহিনী। এ ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। দেশে দেশে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
অবরুদ্ধ গাজার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া ত্রাণবাহী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ৪৪৩ জন স্বেচ্ছাসেবীকে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে বেআইনিভাবে আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আটক ব্যক্তিরা বিশ্বের ৪৭টি দেশের নাগরিক এবং তারা মানবিক সহায়তা নিয়ে গাজা অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন।
আটককৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। কলম্বিয়া বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ বলে উল্লেখ করে ইসরাইলি দূতাবাসে কর্মরত রাষ্ট্রদূতসহ সব কূটনীতিককে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছেন। ইসরাইলের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিও স্থগিত করেছেন তিনি।
জব্দকৃত নৌযানগুলোতে ম্যানুয়েল বেদোয়া এবং লুনা বারেতো নামের দুই কলম্বিয়ার নাগরিকও আছেন। দুই নাগরিককে আটকের পর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন গুস্তাভো পেত্রো।
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে ফ্লোটিলার নৌযান আটককে আন্তর্জাতিক আইন ও জেনেভা চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেছে। পরে সামাজিক মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় পেত্রো বলেন, গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌযান এবং যাত্রীদের আটকের মাধ্যমে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আরও একটি আন্তর্জাতিক অপরাধ করলেন। এর পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কলম্বিয়া ইসরায়েলের দূতাবাসের সব রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের আদেশ প্রদান এবং ইসরায়েলের সঙ্গে স্বাক্ষরিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা– এই চার আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ঐক্যমঞ্চ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। গত ১৮ বছর ধরে গাজার সমুদ্র উপকূল অবরোধ করে রেখেছে ইসরাইল। গাজায় কোনো সমুদ্রবন্দর নেই এবং ইসরায়েলের অবরোধের কারণে আন্তর্জাতিক কোনো জাহাজ বা নৌযান গাজা উপকূলের কাছাকাছি যেতে পারে না। ফ্লোটিলার নৌবহর সেখানে পৌঁছালে তা হবে ১৮ বছর গাজার উপকূলে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক নৌবহরের নোঙর করা।
সূত্র: আলজাজিরা, বিবিসি ও সিএনএনের।