পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে ভয়াবহ ট্র্যাজেডি। ঐতিহাসিক গ্লোরিয়া ফানিকুলার রেলগাড়ি লাইনচ্যুত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ জন। আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন, যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হতাহতদের মধ্যে রয়েছে শিশুসহ একাধিক পর্যটকও।
বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে লিসবনের কেন্দ্রস্থলের একটি খাড়া পাহাড়ি রাস্তায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। গ্লোরিয়া ফানিকুলার, যা শহরের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হিসেবে পরিচিত, হঠাৎ করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দ্রুতগতিতে নিচে নেমে আসে এবং রেললাইনের বাইরে গিয়ে একটি ভবনের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে এসেছে বিভীষিকাময় চিত্র। তারা জানিয়েছেন, ট্রামটি অস্বাভাবিক গতিতে নেমে আসছিল এবং বাঁক ঘুরতে গিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে একপাশে উল্টে যায়। ধাক্কায় ট্রামের পার্শ্ব ও ছাদ সম্পূর্ণভাবে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই জরুরি সেবাদল, দমকল ও মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জরুরি সেবাবিভাগের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে কিছু বিদেশিও রয়েছেন, তবে তাদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ইতোমধ্যে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু করেছে সরকারি প্রসিকিউটরদের একটি দল।
গ্লোরিয়া ফানিকুলারকে পর্তুগালের জাতীয় ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে এটি স্থানীয়দের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের কাছেও অন্যতম আকর্ষণ। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পর্তুগাল সরকার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে।