শিরোনাম
লিলকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় লিভারপুল বঙ্গভবন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এখনো ‘অ্যাডমিন ক্যাডার’ হিসেবে কর্মরত সাবেক আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা চিহ্নিত ছাত্রলীগ ক্যাডাররা এস কে সুরের গোপন ভল্টের সন্ধান বলিউড থেকে সরে দাঁড়ানোর নেপথ্যে কারণ জানালেন নার্গিস মেঘনা পেট্রোলিয়ামের দুর্নীতির মহারাজা ইনাম ইলাহী চৌধুরী লস অ্যাঞ্জেলেসে কষ্টের কথা জানান নোরা শেষ মুহূর্তে উসমান ম্যাজিক, হ্যাটট্রিক শিরোপা পিএসজির আসিফ নজরুলকে শেখ হাসিনার বিষয়ে যা বলেছিলেন খালেদা জিয়া নারী সহকর্মীকে খুন করে দেহ ২৬ টুকরো, অতঃপর…… ২৯ সেপ্টেম্বর দেখা যাবে দ্বিতীয় চাঁদ, থাকবে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত

ধর্ষণের দায়ে মৃত্যুদণ্ডের আইন পাশ পশ্চিমবঙ্গে

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সারা ভারতে বর্তমানে আলোচিত একটি ইস্যু হচ্ছে আরজি কর কাণ্ড। এটাকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গ সহ পুরো ভারতই যেন উত্তাল। ফলে ধর্ষণের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান নিশ্চিত করতে শাসকদল তৃণমুল কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়ছে ক্রমাগত। এমন অবস্থায় বিধানসভায় ধর্ষণ নিয়ে নতুন আইন পাশ করলো রাজ্য সরকার।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে বিল পাস হয়েছে। ধর্ষণবিরোধী নতুন এই বিধানের নাম ‘দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড বিল ২০২৪’ (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল’জ অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২৪)।

জানা গেছে, এর মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গই ভারতের প্রথম কোনো রাজ্য, যারা ধর্ষণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ ও শিশুদের যৌন নিপীড়নবিরোধী কেন্দ্রীয় আইনে সংশোধনীর উদ্যোগ নিয়েছে। এমনিতেই ধর্ষণ এবং নারী অত্যাচারের ঘটনায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতায় কঠোর শাস্তির উল্লেখ রয়েছে। তবে সেই শাস্তিকেই আরও কঠোর করে বলা হয়েছে অপরাজিতা বিলে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র বলছে, বিলটি এখন অনুমোদনের জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দেওয়ার পর এটি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করলে তা আইনে পরিণত হবে।

বিধানসভায় অপরাজিতা বিল পাশের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, এ বিলের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় আইনে থাকা ফাঁকফোকরগুলো বন্ধ করার চেষ্টা করেছি আমরা। ধর্ষণ হলো মানবতাবিরোধী এক অভিশাপ। এ ধরনের অপরাধ ঠেকাতে সামাজিক সংস্কার প্রয়োজন।

গত মাসের ৯ আগস্ট কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে এক শিক্ষানবিশ নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে গোটা শহর।

ক্রমশঃ এই আন্দোলন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা এখন মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে পরিণত হয়েছে। কলকাতার ছাত্র-জনতার এই দাবি প্রতিদিনই জোরদার হচ্ছে।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com