ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক সাইফুল আলম বলেছেন, ছাড-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ এখন দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিনত করার ষড়যন্ত্র করছে। জনসাধারণের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে বিরোধীমতের উপর দায় চালানোর চেষ্টা করছে। যতদিন পর্যন্ত জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হবে ততদিন বিএনপি জনসাধারণের নিরাপত্তা দিয়ে যাবে।
শুক্রবার বিকালে তেজগাঁও নাখাল পাড়া লয় ছাত্রজনতার অভ্যূত্থানে নিহত সিভিল অ্যাভিয়েশন স্কুলের ছাত্র জাহেদ হোসেনের বাসভবনে তার পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় নিহত জাহেদের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং হত্যার বিচার দাবি করেন।
নিরব বলেন, আওয়ামী-বাকশালীরা আমাদের মানুষের মর্যাদা দেয়নি বরং আমাদের ক্ষেত্রে সবসময় শূন্য সহনশীলতা দেখানো হয়েছে। আমাদের ওপর অঘোষিতভাবে দেখামাত্র গুলির নির্দেশ আগে থেকেই ছিল। এমন কোনো জুলুম-নির্যাতন নেই যা আমাদের ওপর চালানো হয়নি। কিন্তু তারা বিএনপির অগ্রযাত্রা কোনোভাবেই রোধ করতে পারেনি বরং শত শহীদ ও জুলুম-নির্যাতনের পথ ধরেই বিএনপি কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের দিকে সফলভাবেই অগ্রসর হচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ১৫-১৬ বছর শেখ হাসিনা সরকার বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ অগণিত মানুষকে হত্যা ও গুম করেছেন। শুধু তাই নয়, মানুষ ঘরে-বাহিরে শান্তিতে ঘুমাতেও পারেনি। গুম-খুন এবং গণহত্যার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনা করেছিলেন। সকল গুম-খুনের ঘটনার বিচার হতে হবে। এটা দেশবাসীর চাওয়া।
এসময় তেজগাঁও থানা বি এন পির আহবায়ক মোহাম্মদ আলী, তেজগাঁও কলেজের সাবেক ভি পি যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সাধারণত সম্পাদক আবু সুফিয়ান দুলাল, ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিশনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।