সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) উদযাপিত হচ্ছে ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে— ‘সচতেনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়ন: শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা।’
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে সোমবার (১ এপ্রিল) আলাদা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি বলেন, অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসএ্যাবিলিটি (এনডিডি) বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের যথাযথ পুনর্বাসনে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথ আরো প্রসারিত হবে- এটাই সকলের প্রত্যাশা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে সকলের সঙ্গে অটিজম ও প্রতিবন্ধীতার শিকার ব্যক্তিদেরকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।
এ লক্ষ্যে আরও বেশি প্রযুক্তিবান্ধব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে তিনি নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সুরক্ষা ট্রাস্টকে আহ্বান জানান।
দিবসটি পালন উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা রয়েছে। এ ছাড়া সভায় সভাপতিত্ব করবেন সমাজকল্যাণ সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ।
মন্ত্রণালয় জানায়, অনুষ্ঠানে পাঁচ ক্যাটাগরিতে ১৩টি পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হচ্ছে— ক্যাটাগরি ‘ক’, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সফল ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে মুইদ হাসান, মোছা. লায়লা বেগম ও অহম্মেদ সিয়াম তন্ময়।
ক্যাটাগরি ‘খ’, অটিজম নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান প্রয়াস, চট্টগ্রাম, অরুনোদয় ও কল্যাণী ইনক্লুসিভ স্কুল।
ক্যাটগরি ‘গ’, প্রতিবন্ধিতা উত্তরণে কাজ করে এমন ব্যক্তি— অধ্যাপক ডা. মাহমুদ আহমেদ চৌধুরী আরজু, মো. সুমন মজুমদার ও আলমগীর হোসাইন।
ক্যাটাগরি ‘ঘ’, সফল পিতা-মাতা আশরাফুন নাহার ও মো. আশরার বিল্লাহ খান।
ক্যাটাগরি ‘ঙ’, সফল কেয়ার গিভার মারজাহান বেগম ও সাজেদা আক্তার।