নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে শুরু হয়েছে বিএনপি-জামায়াত ও কয়েকটি সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা পঞ্চম দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি। একদিন বিরতি দিয়ে বুধবার (১৫ নভেম্বর) ভোর থেকে সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে এ কর্মসূচি শুরু হয়। আজ ভোর ৬টায় শুরু হওয়া অবরোধ চলবে শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত।
চতুর্থ ধাপের অবরোধ শেষ হয় মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভোর ৬টায়। পঞ্চম দফায় রেল, সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে দলটি।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চম দফার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, অন্যান্য রাজনৈতিক দল, যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে, তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে। বুধবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। এটি হবে আমাদের অবরোধ কর্মসূচির পঞ্চম ধাপ। গণমাধ্যম ও সংবাদপত্রের গাড়ি, জরুরি সেবায় নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী গাড়ি অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।
একই দিন জামায়াতে ইসলামীও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দেয়। এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমির জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সব রাজবন্দি এবং ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে আমি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আগামী ১৫ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে ১৭ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে টানা ৪৮ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
প্রসঙ্গত, গেল মাসের ২৮ তারিখের (অক্টোবর) মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। তারপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা।
গত ১১ ও ১২ নভেম্বর চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করা হয়। এরপর গতকাল (মঙ্গলবার) একদিনের বিরতি দিয়ে বুধবার সকাল ৬টা থেকে পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডাকা হয়।