ফুঁসে উঠেছে দেশবাসী, পতনের আওয়াজ আসছে রাজপথ থেকে: রিজভী

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩

ঢাকা : স্বৈরাচারী মানব দৈত্যের পতনের কাউন্টডাউন চলছে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, স্বৈরাচার পতনের আওয়াজ আসছে রাজপথ থেকে।

তিনি বলেন, ‘আগামী শনিবার আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবি আদায়ে সারাদেশের গণমানুষের ঢাকামুখী প্রবল তরঙ্গ—স্রোত ধেয়ে আসছে। স্বৈরাচার পতনের আওয়াজ আসছে রাজপথ থেকে। এ যৌবন জলতরঙ্গ রোধিবি কি দিয়া বালির বাঁধের দৃশ্যপট রচিত হয়েছে। ফুঁসে উঠেছে গোটা দেশবাসী।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘স্বৈরাচারী মানব দৈত্যের পতনের কাউন্টডাউন চলছে। আকাশে বাতাসে, প্রতিটি জনপদে জনরব উঠেছে— ‘দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ।’ এতে নিশিরাতের সরকারের অবৈধ মন্ত্রী—এমপি—নেতা—আওয়ামী পুলিশ কর্মকর্তাদের আতঙ্কে—হৃদকম্পন—অস্থিরতায় সুষুপ্তি হারাম হয়ে গেছে। তারা দিশাহীন, উন্মাদ হয়ে পাইকারি গ্রেফতার, আর্ত-চিৎকার—হুংকার, খুনের হুমকি দিয়ে ভীতিকর ভয়ানক পরিবেশ তৈরির ব্যর্থ চেস্টা করছেন।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের আন্দোলনের জলোচ্ছাস রুখতে এই পলায়নপর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নেতারা আবারো ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের মতো লগি—বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যার নির্দেশ দিচ্ছেন। গান পাউডার ছিটিয়ে আগুন দিয়ে বাসযাত্রী পুড়িয়ে মারার বিভৎস আগুন সন্ত্রাসীদের দল আওয়ামী লীগের নেতারা বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণের নির্দেশ দিচ্ছেন। ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে ঘেরাও করে মারার হুমকি দিচ্ছেন। আমরা বার বার বলেছি আমাদের আন্দোলন জনগণের ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশও হবে শান্তিপূর্ণ। কিন্তু গতকাল আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের দলীয় ক্যাডারদের মোটা মোটা লাঠি নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়ে ঢাকাকে নৈরাজ্যপুরিতে পরিণত করার নির্দেশ দিয়েছেন। যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ১৭৩ দিন জ্বালাও—পোড়াও আন্দোলনের নামে গণপরিবহনে আগুন, ব্যাংকে আগুন, পেট্টোল পাম্পে আগুন, রেল লাইন উৎপাটন করে আগুন, চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করে দেশজুড়ে নজিরবিহীন তাণ্ডব লীলা চালিয়েছিল, সেই জঙ্গি দলটি আজ জনগণের তত্ত্বাবধায়ক সরকার—ভোটাধিকারের দাবি রুখে দিতে রক্তপিপাসু হয়ে উঠেছে। তাদের সাথে যোগ দিয়েছে জনগণের কষ্টার্জিত টাকায় বেতনভোগী পুলিশসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর আওয়ামী দলীয় পোষ্য দলদাস কর্মকর্তারা। তাদের বিরোধীদল দলন—দমন—নিঃশেষ করার ভয়ংকর হুংকার আর গ্রেফতার তাণ্ডব সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে। কিন্ত তাদের জানা উচিত এই নিশুতি সরকারই শেষ সরকার নয়। অতিসত্বর হবে জনগণের সরকার। তখন এই দলদাস পোশাকি সন্ত্রাসীদের পরিণতি কি হবে জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে।’

রিজভী বলেন, ‘এই রক্তপিপাসু জালিম সরকার বিনা ভোটে তাদের ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখতে এই বাংলাদেশে আজ সবাই বন্দি, সবাই পরাধীন। দেশের মানুষের হাত—পা বেঁধে রাখা হয়েছে। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের দিয়ে জেলগুলো ভরে ফেলা হয়েছে, জেলখানায় ধারণ ক্ষমতার চেয়ে এখন তিনগুণের বেশি বন্দি। দুঃসহ বন্দিজীবনে শ্বাসবায়ু প্রাণভরে কেউ গ্রহণ করতে পারছে না। অসংখ্য মানুষ হামলা, মামলা, হুলিয়া, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। গত ১৫ বছরে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে দেড় লাখের বেশি মিথ্যা গায়েবি মামলায় আসামির সংখ্যা প্রায় অর্ধ কোটি। হামলা, মামলা, অপহরণ, গুম, খুনের এক ভয়াবহ বিভীষিকায় বাংলাদেশ আজ ছেয়ে গেছে। ঘরে ঘরে আজ হাহাকার। স্বজন হারানো কান্নার রোলে বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। সর্বগ্রাসী লুটপাটে দুর্ভীক্ষ চলছে। নিরন্ন মানুষ। ভুখা-নাঙ্গাদের ভিড় বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কঠিন সময়ের মুখোমুখি দাড়িয়ে জনগণের প্রাণভোমরা, এই আন্দোলনের সিপাহসালার, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২৮ অক্টোবরের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশে যোগদানের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের লড়াইয়ে অংশ নিতে দেশের প্রতিটি নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’

রিজভী বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে এক বক্তৃতায় তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের আন্দোলন বানচাল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শেখ হাসিনার মাফিয়া চক্র। তারা গণগ্রেফতার শুরু করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা গ্রেফতার নির্যাতনে ভয় পায় না। ভয় পায় না বলেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী চক্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে বিএনপির প্রতিটি সমাবেশে লক্ষ লক্ষ জনগণের উপস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। আজ আমি সারাদেশে আমার দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী বিশেষ করে গায়েবি মামলার শিকার প্রায় অর্ধকোটি নেতাকর্মীদের প্রতি একটি নির্দেশনা দিতে চাই, ‘গণতন্ত্রকামী জনগণ, বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। সুতরাং, আর ঘর থেকে গ্রেফতার বরণ কিংবা মিথ্যা মামলায় আদালতের বারান্দায় ঘুরে সময়ক্ষেপণ না করে এবার চূড়ান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। আর প্রতিবাদ নয় এবার অসীম সাহস নিয়ে প্রতিরোধ ও প্রতিহত করার পালা। একজন গ্রেফতার হলে সঙ্গে সঙ্গেই আরেকজন নেতৃত্ব নিন—নেতৃত্ব দিন। ওরা আর কতজনকে গ্রেফতার করবে। ওরা আর কত মানুষকে জেলে পুরবে। ৪৪ হাজার মানুষের ধারণ ক্ষমতার ৬৮টি কারাগারে এরই মধ্যে লক্ষাধিক মানুষকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। গণতন্ত্রকামী মানুষের ভিড়ে কারাগারগুলোতে এক অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যাদেরকে গণহারে গ্রেফতার করা হচ্ছে, এরা কেউ গুম—অপহরণ কিংবা চুরি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত নয়। তাহলে কেন এই অবৈধ গ্রেফতার? তারেক রহমান মাফিয়া সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, এভাবে গণ গ্রেফতারের পরিণতি ভালো হবে না। অবিলম্বে বিএনপি এবং ভিন্ন দল ও মতের মানুষকে গণগ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। ইতোমধ্যে যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদেরকে ২৮ অক্টোবরের আগেই কারামুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় কারাবন্দি এই মানুষেরাই আগামী ২৮ অক্টোবর দেশের ৬৮টি কারাগার থেকেই একযোগে গণতন্ত্র মুক্তির আওয়াজ তুলতে বাধ্য হবে।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেছেন, আর সময়ক্ষেপণের সময় নেই। এখন চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের লড়াই। এরই মধ্যে স্লোগান উঠেছে, ‘এবার আর ছাড় নাই… ভোটের অধিকার ফেরত চাই’। ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য। আর আজকের এই আন্দোলন দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য। অচিরেই গণতন্ত্রকামী মানুষের বিজয় নিশ্চিত হবেই হবে, ইনশাআল্লাহ।’

রিজভী আরও বলেন, ‘জনগণের নেতা তারেক রহমান বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ইতিহাসের এক কঠিন সময়ের মুখোমুখি। দেশে এখন পাহাড়সম বৈষম্য। একদিকে লুটেরাদের রাজত্ব অপরদিকে লাঞ্চিত—বঞ্চিত মানুষের নিঃশব্দ কান্না। নিশিরাতের সরকারের এক মন্ত্রী বলেছে, দেশে নাকি এখন চার কোটি লোকের জীবনযাপনের মান ইউরোপের মতো। তাহলে বাকি ১৪ কোটি মানুষের জীবনযাপনের মান কোনো দেশের মতো? দেশের অধিকাংশ মানুষকে এখন কেনো বাজারে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র না কিনেই ফিরে আসতে হচ্ছে? অসংখ্য মানুষকে কেন অর্ধাহারে অনাহারে থাকতে হচ্ছে? কে দেবে এসব প্রশ্নের জবাব? বাস্তবতা হলো, লাগামহীনভাবে বেড়েছে প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। একমাত্র কমেছে আওয়ামী নেতামন্ত্রীদের কথার দাম। কমেছে মানুষের মূল্য, মানবিক মর্যাদা। এর কারণ দেশ এখন মাফিয়া চক্রের কবলে। মাফিয়া চক্র অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে গিয়ে দেশের প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নষ্ট করে দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি যখন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের কাছ থেকে ফুলের তোড়া আর পুলিশের কাছ থেকে সহাস্যে তরবারি উপহার নেন, তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু নষ্টই হয়ে যায়নি, এখন পচে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। আপনারা জানেন, অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে গিয়ে মাফিয়া চক্র দেশে সুপরিকল্পিতভাবে সেনা হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনিবার্য সাক্ষী বিডিআর এর নাম—ঠিকানা, খোল নলচে পাল্টে দিয়েছে। দেশে বিদেশে র‌্যাব এবং পুলিশ বাহিনীকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী খুনি বাহিনী হিসেবে পরিচিত করানো হয়েছে। আর সবশেষে এবার দেশের আনসারবাহিনীও মাফিয়া চক্রের টার্গেটে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী চক্র তাদের হীন দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থে গণতন্ত্রকামী জনগণের পেছনে লেলিয়ে দিয়ে আনসারবাহিনীকেও ধ্বংসের চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে।’

তিনি বলেছেন, ‘মাফিয়া সরকারের পতন ঘটিয়ে জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র ও সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে জনগণের বাংলাদেশে জনগণের সরকার জনগণের শাসন কায়েম করতে না পারলে স্বৈরাচারের অন্ধকার থেকে দেশকে গণতন্ত্রের আলোয় ফেরানো সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে আমি দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রিয় জনগণের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, মাফিয়া চক্রের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা না গেলে, জনগণকে হয়তো অদূর ভবিষ্যতে নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের মতোই নিজ দেশে পরাধীনতার শৃঙ্খল পরে থাকতে হবে। জনগণের বাংলাদেশে জনগণের শাসন কায়েম করতে হলে প্রথমেই প্রতিটি নাগরিকের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নিশ্চিন্তে নিরাপদে প্রতিটি নাগরিকের ভোট প্রয়োগের অধিকার, সুযোগ ও পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ছাড়া দেশের সার্বভৌমত্ব যেমন নিরাপদ নয়, একইভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা, মানবাধিকার রক্ষা কিংবা টেকসই উন্নয়নও সম্ভব নয়। প্রতিটি নাগরিকের ভোট প্রয়োগের অধিকারই হচ্ছে নাগরিকদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের অন্যতম প্রধান অস্ত্র। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা নাগরিকদের ভোটের অধিকার প্রয়োগের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারেক রহমান উল্লেখ করেন, গত কয়েকটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্ধারিত ভোটের দিনের আগেই নির্লজ্জভাবে ১৫৪ জনকে বিনাভোটে এমপি ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ওই নির্বাচনেও নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে জনগণের ভোট ডাকাতি হয়ে গিয়েছিলো। আত্মমর্যাদাহীন—মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ভোট ডাকাতিতে সহযোগিতা করেছে জনপ্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি আওয়ামী সিন্ডিকেট। আবারো জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এসেছে। নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকার আবারো জনগণের ভোট ডাকাতির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এর আগে ২০১৪ কিংবা ২০১৮ একটি নির্বাচনেও জনগণ ভোট দেবার সুযোগ পায়নি। নতুন ভোটাররাও ভোট দেবার সুযোগ পায়নি। দেশে বর্তমানে প্রায় বারো কোটি ভোটারের মধ্যে গত ১৫ বছরে ভোটার তালিকায় এ পর্যন্ত যুক্ত হয়েছে, নতুন প্রজন্মের প্রায় তিন কোটি ভোটার। ভোট ডাকাত হাসিনা আগের মতো এবারও যেন আপনার—আমার—আমাদের ভোট, ডাকাতি করে নিয়ে যেতে না পারে এ জন্য আওয়ামী ভোট ডাকাতদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। লুন্ঠিত ভোটের অধিকার ছিনিয়ে আনতে হলে বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের প্রায় তিন কোটি ভোটারকে জেগে উঠতে হবে। তরুণদেরকেই রাজপথে ভোটের অধিকার আদায়ের মিছিলের অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে ‘

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ-দফতর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com