ঢাকা : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৮ থেকে ১৯ বিলিয়নের মধ্যে রাখার শর্ত দিয়েছে। আর আগামী বছরের জুনে ২১ থেকে ২২ বিলিয়নের মধ্যে উন্নীত করার শর্ত দিয়েছে। পূর্ব শর্ত অনুযায়ী রিজার্ভ সংরক্ষণে ব্যর্থ হওয়ায় আইএমএফ নতুন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৩ জুলাই থেকে আইএমএফের বিপিএম৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস বা মোট রিজার্ভের হিসাব করছে। আইএমএফের পদ্ধতি অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার। আগস্টের চেয়ে সেপ্টেম্বরে রিজার্ভ ২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার কমে ২১ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। জুনের চেয়ে জুলাইয়ে কমেছিল ১ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার। জুলাইয়ের চেয়ে আগস্টে কমেছিল ১ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তের আলোকে সেপ্টেম্বর শেষে নিট রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার কথা। তবে গ্রস রিজার্ভের চেয়ে নিট রিজার্ভ আরও ৩ বিলিয়ন ডলার কম। অর্থাৎ বর্তমানে নিট রিজার্ভ রয়েছে ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে। তবে আগামী ডিসেম্বরে রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার শর্ত দিয়েছে আইএমএফ, যা অর্জন করা দুরূহ।
আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী, সরকারকে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর জিডিপির অনুপাত শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। তবে নির্বাচনী বছরে এ লক্ষ্য অর্জন কঠিন তাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা কমিয়ে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে রাজস্বের লক্ষ্য অর্জনে প্রতি অর্থবছরের বাজেটে কি পরিমাণ করছাড় কমানো হবে তা উল্লেখ করার শর্ত দেওয়া হয়েছিলো।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পর রাজস্ব আহরণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অটোমেশন বাস্তবায়নসহ করছাড় কমানোর উদ্যোগ যথাযথভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে অর্থ বিভাগ আইএমএফ মিশনকে জানিয়েছে।