আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র বাহীনি হামাসের রকেট হামলার পর গাজায় পাল্টা বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ১৬০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে গাজার মেডিক্যাল সূত্রে। আহত হয়েছেন আরও এক হাজারের অধিক। শনিবার (৭ অক্টোবর) আল জাজিরার লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
এ দিকে শনিবার সকালে মাত্র ২০ মিনিটের ব্যবধানে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থান ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে ৫ হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। এতে এ পর্যন্ত ৪০ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে জীবিত অবস্থায় ইসরায়েলি সেনাদের জিম্মি করে গাজায় নেওয়ার ভিডিও প্রকাশ করেছে।
রকেট হামলার পর হামাসের যোদ্ধারা আকাশ, নৌ ও স্থলপথ দিয়ে ইসরায়েলের অবৈধ বসতিগুলোতে প্রবেশ করেন। ইসরায়েলে হামলার কারণ জানিয়ে হামাস বলেছে, ‘দখলদার ইসরায়েলিদের সকল অপরাধ অবসানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। কোনো বিচার ছাড়া তাদের তাণ্ডব চালানোর সময় শেষ।’
ইসরায়েলের গোয়েন্দা ব্যর্থতা, হামাসের হামলা ঘুর্ণাক্ষরেও টের পায়নি। এততে ব্যর্থ ইসরায়েলের গোয়েন্দারা। এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করে হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের নেতা মোহাম্মদ দায়েফ বলেছেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়। আমরা ফিলিস্তিনিদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এরই মধ্যে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ৫ হাজার রকেট হামলা চালিয়েছি।’
দায়েফ আরও বলেন, ‘শত্রুপক্ষকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। দখলদারেরা এখানে শত শত বেসামরিক নাগরিককে গণহত্যা করেছে। তাদের হামলায় চলতি বছর শত শত মানুষ শহীদ হয়েছে, আহত হয়েছে।’
ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় নিহত অন্তত ৪০। বড় ধরনের এই রকেট হামলাকে ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ হিসেবে ঘোষণা করে আল-ক্বাসাম ব্রিগেডপ্রধান বলেন, ‘আমরাই আগে হামলা চালিয়েছি।’
হামাসের সামরিক শাখার এই শীর্ষ নেতা জানান, আল-ক্বাসাম ব্রিগেডের সদস্যরা ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর অবস্থান, বিমানবন্দর, বিভিন্ন ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ব্যাপক রকেট হামলা চালিয়েছে। সব মিলিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালানো রকেটের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
হামাসের এই বিশাল অভিযান শুরুর পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। ইসরায়েলিদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমরা এখন যুদ্ধের মধ্যে আছি, কোনো অভিযান নয়, কোনো উস্কানি নয়, যুদ্ধ।
সূত্র: আল জাজিরা