স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়ান গেমসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মিয়ানমারের বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ। চীনের হাংজুর জিয়া ওশান স্পোর্টস সেন্টারে মিয়ানমারের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে নিজেদের এশিয়াড মিশন শুরু করা টাইগাররা দ্বিতীয় ম্যাচেও হোঁচট খায়। সুনীল ছেত্রির শেষ মুহূর্তের গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতেছিল ভারত। ফলে এশিয়ান গেমসের টানা দুই ম্যাচে হেরে পরের রাউন্ডে যাওয়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। তবে আজ নিজেদের শেষ ম্যাচে অবিশ্বাস্য এক সাফল্য এনেছে বাংলাদেশ। শক্তিশালী চীনকে তাদের মাঠেই রুখে দিয়েছে টাইগাররা।
চীনের হাংজুতে ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়। বাংলাদেশ শেষ ম্যাচে কত গোল খাবে সেই হিসেব কষছিল ফুটবল বোদ্ধারা। নিজেদের থেকে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১০৯ ধাপ এগিয়ে থাকা চীনের বিপক্ষে কত গোল খাবে বাংলাদেশ সেই ভাবনা আসাটাই স্বাভাবিক।
নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে ভারত ও মিয়ানমার বড় ব্যবধানে হারিয়ে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছিল চীন। আজ বাংলাদেশের ও চীনের দুই দলেরই গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচ ছিল।
নিজেদের শেষ ম্যাচে চীনকে রুখে দিয়ে যেন জয়ের আনন্দই পেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। মিয়ানমারের বিপক্ষে আত্মঘাতী গোলে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বিতর্কিত পেনাল্টির গোলে হার বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়েছিল। তবে শেষ ম্যাচে চীনকে রুখে দিবে মিতুল মারমারা তা হয়তো কখনো ভাবেনি ফুটবল প্রেমীরা।
নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে কখনো চীনের মতো দলকে রুখে দিতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে রেকর্ড গড়ল মিতুল মারমারা। ২০০২ সালে বুসান এশিয়ান গেমস ও ১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়ান গেমসে চীনের বিপক্ষে হারের মুখ দেখেছিল লাল-সবুজের দল।
তবে এবার আক্ষেপ মোচন করেছে ক্যাবরেরার শিষ্যরা। এশিয়া গেমসের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেও চীনকে রুখে দিয়ে ১ পয়েন্ট নিয়ে এক প্রকার জয়ের আনন্দ নিয়ে দেশে ফিরবে টাইগাররা।