শিরোনাম

এবার আর ওয়াকওভার পাবে না আওয়ামী লীগ: ফখরুল

স্কাই নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ঢাকা : ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় এমন অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এবার আর তারা ওয়াকওভার পাবে না। এ দেশের জনগণ আর তা হতে দেবে না।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৬তম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে উত্তরবঙ্গ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, ‘আসুন আমরা পণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাই, এছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।’

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা লড়াই করছি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটানোর জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। এই সরকার স্বাধীনতার যে অর্জন সব নষ্ট ও ধ্বংস করে ফেলেছে। তারা এ দেশের আত্মাকে নষ্ট করেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার একটি লক্ষ্য নিয়েছে, যারা এদের বিরুদ্ধে কথা বলবে, আন্দোলন করবে, তাদের জেলে ঢুকিয়ে, গ্রেফতার করে স্তব্ধ করতে করতে চায়। কিন্তু এগুলো করে জনগণের আন্দোলন থামাতে পারবে না। এই আন্দোলনে বিজয়ী হতে হবে, আন্দোলন করে এদের পতন ঘটানো ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘কথা বেশি নয়, কথা একটাই- এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এবার আমাদের জয়ী হতেই হবে।’

তারেক রহমানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তারেক কে? তিনি হলেন, স্বাধীনতার ঘোষক, এ দেশের সর্বপ্রথম রাষ্ট্রপতি, দেশের প্রবর্তক, আধুনিক রাষ্ট্রের রূপকার, জিয়াউর রহমান এবং এ দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বড় সন্তান।’

প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কবিরা লিখছেন, সব দেশের রানী আমার জন্মভূমি। কিন্তু এখন দেশে কেউ থাকতে পারে না। চায় না। কারণ যে দেশে রাজত্ব করে পাপীরা, সে দেশ আর ভালো মানুষ থাকতে পারে না। এমনই এক অবস্থা যাচ্ছে দেশে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘প্রতিদিন কোর্টের লোহার শিকলে গিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে, পুলিশ এক দাসত্ব বাহিনী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। বিচারকরা অতিদ্রুত আমাদের সাজা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যাতে আমাদের জেলে ঢুকিয়ে আগের মতো নির্বাচন করতে পারেন। এজন্য আমাদের কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সবাই এখন এমপি আর মন্ত্রী হতে চায়, কিন্তু দেশটা বাঁচাতে চায় কয়জন? স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে এত নেতা ছিল না। কিন্তু আমরা তখনও বিজয়ী হতে পেরেছিলাম। এখন তো নেতা বেশি, কেউ কাজ করে না, ছাত্রদের তো আন্দোলনে দেখি না।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘যতই চেষ্টা করুক শেখ হাসিনা, তিনি এককভাবে নির্বাচন করতে পারবেন না, এটা আমি বলে গেলাম।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজ প্রমাণিত হয়েছে, কেন সেদিন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদের টার্গেট হয়েছিলেন। সেটা আজ প্রমাণিত। তখন তারেক রহমান শুধু দেশে নয় আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্রকারীদের চোখের শূল হয়েছিলেন। এজন্য তার ওপর জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার পরই তারেক রহমান, এ কারণেই তার ওপর এত নির্যাতন। এখনও সে ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি, চালু আছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক ছাত্রদল সভাপতি ও উত্তরবঙ্গের কৃতি সন্তান ফজলুর রহমান খোকন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

এই পোস্ট টি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2021 Skynews24.net
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com