ঢাকা : বাকশালকে হার মানিয়েছে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু । তিনি বলেন, বাকশালের চেয়েও বেশী নির্যাতনকারী হাসিনা সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটিতে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, এই সরকার এই দেশের অস্তিত্ব নিয়ে, এই দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে । একটি দেশ টিকে থাকে দুইটি বিষয়ের উপরে সেই দেশের বিচার ব্যবস্থা, আইনের শাসন, এবং দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ঠিক আছে কিনা। এই দুটি জিনিসই শেখ হাসিনা ধবংস করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনার মধ্যে দিয়ে এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি বাংলাদেশের জনগন উপহার পেয়েছিল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম যদি না হত এই বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম হতো কিনা সন্দেহ।’তিনি বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ।
বাংলাদেশের মানুষ এই সরকারের পতন দেখতে চায় উল্লেখ করে যুবদল সভাপতি আরো বলেন, পতনের আগে এই সরকার আবোল তাবোল বকছে। ভীত হয়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসুচিতে বাধা দিচ্ছে। সারাদেশে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। কিন্তু এই হামলা-মামলা দিয়ে বিএনপির গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে ব্যাহত করা যাবে না। এবারের লড়াইটা দেশকে রক্ষার, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের অস্তিত্বের লড়াই।’
তিনি বলেন, দেশ এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। লুটপাট আর দুর্নীতিতে নিমজ্জিত সরকার দেশকে দুর্ভিক্ষের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে হাহাকার চলছে। জনগণ আর এই অপশাসনের ভার বইতে পারছে না। জণগন এখন এই সরকারের পতন চায়।
‘ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে আবারও আন্দোলন চলছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।’
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোরশেদ মামুনের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, গণ-অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারন সম্পাদক রাশেদ খান, জাতীয়তাবাদী যুবদলের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাভেদ হাসান স্বাধীন, সাইদুর রহমান, এড. আজিজুর রহমান আকন্দ, সহ-সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, মিয়া মোহাম্মদ রাসেল, শাহ নাসিরুদ্দীন রুমন, প্রচার সম্পাদক করিম সরকার, যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, সহ-শ্রম সম্পাদক মইনুল ইসলাম হিটু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক আমান উল্লাহ বিপুল, সহ-মানবাধিকার সম্পাদক মাহবুব আলম আখতার, সহ-কুটির শিল্প সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম রুমন, কেন্দ্রীয় সদস্য মিজানুর রহমান সুমন, সেলিম হোসেন মুন্না আকন্দ, শাজাহান রনি প্রমুখ।