ঢাকা : বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে অপপ্রচার, মনগড়া, বানোয়াট খবর ছড়ানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (২৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যারা বিদেশে গিয়েছেন তারা চিকিৎসা নিতেই গেছেন। তাদের নিয়ে অপপ্রচার, মনগড়া, বানোয়াট খবর ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, যেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, কথা বলার স্বাধীনতা নেই, সবসময় একটি ভয়-আতঙ্কের পরিবেশের মধ্যে অতিবাহিত হচ্ছে, সেখানে আমাদের কাছে একটি উদ্দীপনার নাম এবং প্রেরণার স্থল হচ্ছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। ফ্যাসিবাদের দুঃশাসন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যেভাবে কাজী নজরুল ইসলাম দাঁড়িয়েছেন, আজও তা অনুপ্রেরণা যোগায়।
আজ কবি নজরুলের ৪৭তম প্রয়াণ দিবস। ১৯৭৬ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তৎকালীন পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলার বুলবুলি। দিবসটি উপলক্ষে নানান কর্মসূচি আয়োজন করেছে বিভিন্ন সংগঠন।
জাতীয় কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। এখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন।
বাংলাসাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাসংগীত জগতকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরপরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন এবং ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি দেন।
বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কবিকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয়। একই বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি কবিকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।